ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

বিচারপতি আমির হোসেন আর নেই

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি আমির হোসেন মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিচারপতি আমির হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
দুপুর ২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের অধিকাংশ বিচারপতি, তথ্য ও স¤প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হোসেন তালুকদার, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ সাধারণ আইনজীবীরা অংশ নেন। জানাজার পূর্বমুহূর্তে মরহুমের ছেলে মোসাব্বির হোসেন রাফি স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রয়াতের কর্মময় জীবন তুলে ধরেন। জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে আমির হোসেনের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। দেয়া হয় গার্ড অব অনার। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
বিচারপতি আমির হোসেন ১৯৫৭ সালের ৩০ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের নিকলীতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৯ সালের ৬ মে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
গাজীপুর জেলা জজ থাকা অবস্থায় তিনি ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সবশেষে ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর বিচারপতি আমির হোসেনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়