ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসা মাঠে ধান চাষ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধের সুযোগে খেলার মাঠেই করা হয়েছে ধান চাষ। নষ্ট হয়েছে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ। অভিযোগ উঠেছে, এ কাজে সহায়তা করছেন, অত্র মাদ্রাসার সুপার। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের চন্দনচহট আলহাজ ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা। মাঠে এখন ধান চাষের দৃশ্য চোখে পড়বে।
সম্প্রতি করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে রোপণ করা হয়েছে ধান। যাতে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ। অভিযোগ উঠেছে, এ কাজে সহায়তা করছেন মাদ্রাসার সুপার মমতাজ আলী। জড়িত রয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিও।
আব্দুল কাদের নামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এক অভিভাবক বলেন, দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছেলেমেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। আর সেই সুযোগে মাদ্রাসার মাঠে ধান চাষ করা কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি। এতে মাদ্রাসার মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।
চন্দনচহট আলহাজ ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মমতাজ আলী জানান, ১৯৯৫ সালে আমরা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করি। এরপর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদ্রাসার কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারি না। অফিস সহকারীর অনুরোধে করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ধান চাষের অনুমতি দিয়েছি। তাছাড়া মাদ্রাসার বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা তো করে না।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে ধান রোপণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসা যেহেতু এমপিওভুক্ত হয়নি। করোনার জন্য বন্ধও রয়েছে। তাই ফেলে না রেখে অফিস কর্মচারী ধান রোপণ করেছেন। এতে সমস্যা দেখছি না।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঠে ধান চাষ করার কোনো বিধান নেই। মাঠটি খেলার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ‘বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপারকে ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়