১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

২ ডোজের ব্যবধান কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে এখন থেকে নিবন্ধনের মাধ্যমেই দেয়া হবে ভ্যাকসিন। এর ফলে গণটিকাদান ক্যাম্পেইন আর হচ্ছে না। এছাড়া করোনার টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন। বৈঠকে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন ও সুবিধাদি) আইন-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ ও ভাতা) আইন-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স এন্ড বার কাউন্সিল (সংশোধন) আইন-২০২১’ এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কারিগরি দিক বিবেচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। শ্রমিকদের আলাদা পরিকল্পনার মাধ্যমে কীভাবে দ্রুত টিকা দেয়া যায় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। অনেক দেশেই দেখা যাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ডোজ অনেক কম সময়ের মধ্যেই দেয়া হচ্ছে। সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে কর্মসূচি ঠিক করছে মন্ত্রণালয় : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মসূচি ঠিক করছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর আগে সচিব সভায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজও (সোমবার) কথা হয়েছে। তারা প্রোগ্রাম ঠিক করছে- কীভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব….. তারা আপনাদের সঙ্গে

ব্রিফিংয়ে বসবে। কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে তা বলে দেবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এ ছুটি আছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। পরীক্ষাগুলো বাতিল বা পিছিয়ে যাচ্ছে। করোনার এমন বাস্তবতায় বিকল্প উপায়ে টিভি, অনলাইন, অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সংশ্লিষ্ট দুটি আইনের অনুমোদন : ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন ও সুবিধাদি) আইন-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ ও ভাতা) আইন-২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন ও সুবিধাদি) আইন-২০২১’ এর খসড়া নিয়ে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে কোর্টের রায় ছিল সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত করা। এটাকে ইংরেজি থেকে বাংলায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেজন্য এটা কেবিনেট একেবারে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। এরপর পার্লামেন্টে যাবে।
‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ ও ভাতা) আইন-২০২১’ এর খসড়া নিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটাও অধ্যাদেশ ছিল। এটাতেও নতুন কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আগে যেটা ছিল সে অনুযায়ী। এটাকেও পুরো অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে এখানে ছোটখাট সংশোধন আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে দৈনিক ভাতা ৫০০ বা সাড়ে ৫০০ টাকা ছিল, সেখানে ১৪০০ টাকা করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স এন্ড বার কাউন্সিল (সংশোধন) আইন-২০২১’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কিছু দিন আগে বার কাউন্সিলের অধ্যাদেশ করা হয়েছিল, কারণ যদি কোনো কারণে টাইম ওভার হয়ে যায় তখন কী করবে, সেটার কোনো বিধিবিধান ছিল না। সেজন্য বার কাউন্সিল অধ্যাদেশ হিসেবে এটি নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি বলেন, অধ্যাদেশ করলে পার্লামেন্ট শুরু হলে এক মাসের মধ্যে সেটাকে আইনে পরিণত করতে হয়, নইলে সেটা বাদ হয়ে যায়। সেজন্য উনারা এটা নিয়ে এসেছে। সেটা কেবিনেট রি-অনুমোদন করেছে। আসন্ন সংসদ অধিবেশনে এটাকে অনুমোদন করে ফেলতে হবে, নইলে বাতিল হয়ে যাবে। সেজন্য এটার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
##

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়