১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

সহকারী জজের যোগসাজশে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : লোহাগাড়া উপজেলায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক সহকারী জজের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সরকারের জনবিভাগ দপ্তর, আইন মন্ত্রণালয়, প্রধান বিচারপতি, পুলিশের আইজিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মহল। উপজেলার পশ্চিম কলাউজান হাছান আলী মিয়াজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা কৃষক আয়ুব আলী জানান, সহকারী জজের প্রত্যক্ষ মদদে দুর্বত্তরা জমি দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী আব্দুল মোনাফের পুত্র জামায়াত নেতা জামাল উদ্দিন ইউছুফের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। প্রতিবেশী মো. আনিসের ছেলে সহকারী জজ আব্বাস উদ্দিন বাড়িতে থাকার সুবাদে তার চাচাত ভাই মহিউদ্দিন ফারুক, কুতুব উদ্দিন এবং তাদের সহযোগী ফরিদুল আলম, জোবায়ের, শাহাবউদ্দিনসহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গত বছর তার মৌরসী ধানি জমি দখলের পাঁয়তারা চালায়। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোনো সুবিচার না পেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৫ ধারায় থানা পুলিশকে শৃঙ্খলা বজায়ের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু জজের মদদে দুর্বত্তরা আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে আমার ১১ শতক জায়গার কিছু অংশ দখল নেয়। ভুক্তভোগী নুরুল আবছার বলেন, আদালত জমির দখল প্রতিবেদন চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করে আমাদের পক্ষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্বত্তরা জমির ধান জোর করে কেটে নিয়ে যায়। বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তারা আমার ভাই জাকারিয়াকে রাতের অন্ধকারে বাড়ির পাশের বিলে নিয়ে গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায়ও উপরোল্লেখিত দুর্বত্তদের আসামি করে লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করি। রহস্যজনকভাবে সে মামলাটিরও কোনো সুরাহা হয়নি। কোনো বিচার না পেয়ে আইজিপি, ডিআইজি, চট্টগ্রামের এসপি, অতিরিক্ত এসপি সার্কেল সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়। একইভাবে সহকারী জজের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রপতি, আইন বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী জজ আব্বাস উদ্দিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়