১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

রাণীনগরে চালে আশা ধানে হতাশা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ফলে ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরো ১৫ দিন সময় বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার আশা দেখলেও ধান নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে ধান সংগ্রহ অভিযান মুখথুবড়ে পড়েছে।
রাণীনগর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা তারেক-উজ জামান বলেন, বোরো মৌসুমে ২৭ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ৫৭৩ টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করার লক্ষ্যে গত ২৮ মার্চ ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়। এছাড়া ৪০ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ৮৩৭ টন চাল মিলারদের কাছ থেকে কেনার জন্য ১১ মে চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিন থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৭৩ টন ধানের মধ্যে মাত্র ৭৯১ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে চাল সংগ্রহে উপজেলার ১২২ জন মিলারের সঙ্গে চুক্তি করায় চুক্তি অনুযায়ী এ পর্যন্ত ২ হাজার ১৪২ টন চাল দিয়েছেন।
যদিও চলতি মাসের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু স্থানীয় বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে মণপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশি দরে ধান বিক্রি করতে পারায় কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না।
কালীগ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান, নারায়ণপাড়ার বাবু, সিম্বার মকলেছুর রহমান, ভেটির ছামছুর রহমানসহ অনেক কৃষক বলেন, সরকার ২৭ টাকা কেজি দরে মোটা ধানের দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এখানে আমরা জিরাশাইল, কাটারিভোগ, চিনি আতপসহ নানা ধরনের চিকন জাতের ধান চাষ করি। আমাদের চিকন ধানের দাম তো আর বাড়ায়নি। খোলা বাজারে সাড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করছি। ফলে খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছি না।
উপজেলার আবাদপুকুর বাজারের ধান-চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হেলু মণ্ডল জানান, আবাদপুকুর বাজারে প্রতি মণ জিরাশাইল ধান ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং কাটারিভোগ ধান ১ হাজার ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা ধান-চাল মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সীতানাথ ঘোষ বলেন, মাঝে চালের দাম বেশি থাকায় অনেকেই চাল দিতে পারেননি। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা দর কমেছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাল সরবরাহ সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করছেন তিনি।
রাণীনগর উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, চালের দর কিছুটা কমে যাওয়ায় হয়তো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। কিন্তু খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা ধান দিচ্ছেন না। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়