১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

জামালগঞ্জে বেড়িবাঁধ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা : চোখের সামনে তলিয়ে গেল ২ হেক্টর জমির আমন বীজতলা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : জামালগঞ্জ উপজেলার ৩নং ফেনারবাঁক ইউনিয়নের গজারিয়া ক্লোজারটি গত শনিবার গভীর রাতে কেটে দিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গজারিয়া, কামধরপুর ও আলীপুরের কৃষকরা। জানা যায়, গজারিয়া বেড়িবাঁধের ক্লোজার মাছ খেকোরা কেটে দেয়ায় প্রায় ৫০০-৬০০ বিঘা আমন ধান রোপণ করার স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গেছে কৃষকের। আমন ধান রোপণের জন্য বীজ বপন করা হলেও কৃষকের চোখের সামনে তলিয়ে গেছে। আরো জানা যায়, গত বছর এই বেড়িবাঁধ নির্মাণে পাউবো প্রায় ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল পিআইসির মাধ্যমে। মাছখেকোরা রাতের আঁধারে বেড়িবাঁধটি কেটে দেয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গচ্ছা গেছে সরকারের ১৫ লাখ টাকা।
ফেনারবাঁক ইউপি সচিব অজিত রায় বলেন, গজারিয়া বেড়িবাঁধের ক্লোজারটি কতিপয় দুর্বৃত্ত রাতের আঁধারে কেটে দেয়ায় ওই এলাকার কৃষকের বীজতলা ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে আমন রোপণে হুমকির মুখে পড়লেন কৃষক। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হবে কৃষকের। স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদ আলী বলেন, মাছখেকোরা গভীর রাতে গজারিয়া বেড়িবাঁধের গুরুত্বপূর্ণ ক্লোজারটি কেটে দেয়। এতে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কৃষকের চোখের সামনে বীজতলা ডুবে যাচ্ছে, অসহায়ের মতো দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই। বিশেষ করে বাঁধটি কেটে দেয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জামালগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ বলেন, গজারিয়া বেড়িবাঁধটি ২০১৮ সালে মাছখেকো চক্র ভেঙে দিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিল। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের প্রচেষ্টায় প্রশাসনের সহযোগিতায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। ওই চক্রটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় আবারো বাঁধ কাটার পুনরাবৃত্তি ঘটল। আমরা চাই এই চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এই বাঁধটি কাটার কয়েক দিন আগে সদর ইউনিয়নের মুচি বাড়ির ক্লোজারটিও কেটে মাছখেকো চক্ররা।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার মাশরেফুল আলম বলেন, গজারিয়া বেড়িবাঁধটি কেটে দেয়ায় ২ হেক্টর আমন বীজতলা আক্রান্ত এর মধ্যে ১ হেক্টর বীজতলা পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। সঠিক সময়ে আমন চাষ করতে না পারলে এ অঞ্চলের কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত দেব বলেন, গজারিয়া বেড়িবাঁধের ক্লোজরটি যারা কেটে দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে অনুসন্ধান চলছে। আমি নিজেও বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়