১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

ই-অরেঞ্জের মালিক দম্পতিসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রতারণা করে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক দম্পতি সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের ১০ দিন রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালত আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার হওয়া শতাধিক গ্রাহক গতকাল পাওনা টাকার দাবিতে প্ল্যাকার্ড-ব্যানার হাতে নিয়ে আদালত চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। সকাল থেকে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে গ্রাহকরা বলেন, আমরা টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছি। এখন আমরা পাওনা টাকা ফেরত চাই। এসময় তারা ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য গতকালকের দিন ধার্য করেন আদালত। তার আগে আসামিরা জামিন চাইলে সেটি নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। সেইসঙ্গে আসামিদের দেশত্যাগেরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন আগে অর্ডার করেও পণ্য না পাওয়ায় মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গত ১৬ আগস্ট গুলশান থানায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারে প্রতারণার শিকার আরো ৩৭ জনের স্বাক্ষর রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়