মানুষের কল্যাণ করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন : সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

আগের সংবাদ

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভাজন! মাঠ প্রশাসনকে কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনা : জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পরের সংবাদ

মৌসুমি এডিস সার্ভে : দুই সিটির ৫৬ এলাকা ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ৫৬টি এলাকা ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির মধ্যে আছে ২৬টি ও দক্ষিণের আছে ৩০টি এলাকা। আর ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশির ভাগই যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও মিরপুর এলাকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মৌসুমি এডিস সার্ভে-২০২১ থেকে জানা গেছে এ তথ্য। গতকাল রবিবার অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পরিচালিত এ সার্ভের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের ২৯ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০ জায়গায় ওই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীদের মধ্যে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ যাত্রাবাড়ীর। এরপর রোগী বেশি মিরপুর ও উত্তরা এলাকায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাসাবো, রামপুরা, খিলগাঁও, মুগদা, ওয়ারী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মগবাজার ও পল্টনে বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনলাইন এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। সমাপনী বক্তব্য রাখেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। সার্ভের তথ্য তুলে ধরেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নির্মূল কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান।
সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মশার ঘনত্ব পরিমাপক সূচক সর্বোচ্চ ব্রেতো ইনডেক্স (বিআই) পাওয়া গেছে ৩৫নং ওয়ার্ডে (মগবাজার, নিউ ইস্কাটন); এখানে বিআই ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপর ১৭নং ওয়ার্ডে (বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিকুঞ্জ) ৪৮ দশমিক ৪, ১১নং ওয়ার্ডে (কল্যাণপুর, দারুসসালাম এলাকা) ৪৬ দশমিক ৭, ১৪নং ওয়ার্ডে (মিরপুর-১০, কাজীপাড়া) ৪৩ দশমিক ৩, ২০নং ওয়ার্ডে (মহাখালী, নিকেতন) বিআই ৪০। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডে (বাসাবো, গোড়ান) বিআই ৭৩ দশমিক ৩, ১৮নং ওয়ার্ডে (এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি) ৬৬ দশমিক ৭, ৩৯নং ওয়ার্ডে (আর কে মিশন রোড, টিকাটুলি) ৫০, ৩নং ওয়ার্ডে (বনশ্রী) ৪০ এবং ১৯নং ওয়ার্ডে (মিন্টু রোড, বেইলি রোড) বিআই ৪০।
জরিপকালে ৩ হাজার গৃহস্থালির মধ্যে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে ৫৮৮টিতে, লার্ভা মেলেনি ২ হাজার ৪১২টি গৃহস্থালিতে। এডিসের লার্ভার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বহুতল ভবনে, এই হার ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ। এ হার একক ভবনে ২৪ দশমিক ৫

শতাংশ, নির্মাণাধীন ভবনে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ, বস্তি এলাকায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, পরিত্যক্ত জমিতে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। সর্বাধিক পজেটিভ কন্টেইনারগুলোর মধ্যে মেঝেতে জমানো পানিতে সবচেয়ে বেশি এডিসের লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে। এখানে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ, প্লাস্টিক ড্রাম ১২ দশমিক ১ শতাংশ, প্লাস্টিকের বালতি ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, ফুলের টব বা ট্রেতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, পরিত্যক্ত গাড়ির টায়ারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ অনান্যা ৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং রংয়ের কৌটায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, লকডাউনের কারণে অনেক প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল। সেখানে জমে থাকা পানি থেকে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এখন সেগুলোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেসব তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডেঙ্গুর উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়