মানুষের কল্যাণ করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন : সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

আগের সংবাদ

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভাজন! মাঠ প্রশাসনকে কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনা : জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পরের সংবাদ

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন : মির্জা আব্বাস-পাপুল ও ইফতেখারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাস, কুয়েতের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল ও কারা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রবিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুদক এ সিদ্ধান্ত নেয়। জানা যায়, সাবেক পূর্তমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে খিলগাঁও মৌজায় রেলওয়ের ০.৩১২৫ একর জমি অবৈধভাবে নিজ নামে অবমুক্ত ও নামজারি, একই মৌজাভুক্ত বিভিন্ন দাগ খতিয়ানে আরো ১৫০ কাঠা জমি দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয় ও খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকার পার্কের জায়গায় প্লট তৈরি করে নিজ নামে/বেনামে বরাদ্দ নিয়ে ২০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ। এছাড়া গুলশান বনানীর ৫০/৬০ কাঠা জমি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
ল²ীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে অনৈতিকভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবৈধ সুযোগ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির চলমান অনুসন্ধানের সঙ্গে এ অভিযোগটিও যুক্ত হবে। জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ইতোমধ্যে পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।
এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ইফতেখার উদ্দিনের বিরুদ্ধে অধিনস্ত ও আশীর্বাদপুষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার ও মাদক বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়