মানুষের কল্যাণ করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন : সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

আগের সংবাদ

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভাজন! মাঠ প্রশাসনকে কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনা : জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পরের সংবাদ

ক্ষমা চাইলেন তদন্ত কর্মকর্তা : ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ভাই হত্যার দায়

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছোট ভাইকে হত্যা দায় ১২ বছরের শিশু সৌরভের ঘাড়ে চাপানোর ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সারিয়াকান্দি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক নয়ন কুমার। আদালত তার ক্ষমার আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গতকাল রবিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে নয়ন কুমার ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় পিবিআইয়ের বগুড়ার উপপরিদর্শক মনসুর আলী আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে গত ১০ আগস্ট বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছোট ভাই হত্যার দায় ১২ বছরের শিশু বড় ভাই সৌরভের ঘাড়ে চাপানোর ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তারা হলেন- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইয়ের) বগুড়ার উপপরিদর্শক মনসুর আলী ও ওই মামলায় প্রথম চার্জশিট দেয়া সারিয়াকান্দি থানার উপপরিদর্শক নয়ন কুমার। এ মামলার প্রয়োজনীয় নথিসহ তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
এর আগে গত ২৯ জুন তাদের হাজির হতে ৩ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন। কিন্তু ওইদিন করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় শুনানি হয়নি। গত ২০ জুন বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছোট ভাই হত্যার দায় বড় ভাই সৌরভের ঘাড়ে চাপানোর ঘটনায় আদালত বলেছিলেন, এমন ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে এটা হবে দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
‘পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’ শিরোনামে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সি বড় ভাইকে। ওই বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়ার কাটাখালী গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বড় ভাই সৌরভকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়