অভিনন্দন জানাল প্রজ্ঞা : রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের অযোগ্য তামাক কোম্পানি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি গায়েব, তদারকি নেই : গণপরিবহন, দোকান, কাঁচাবাজার, বিনোদন কেন্দ্রে চলাচল স্বাভাবিক

পরের সংবাদ

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা : ১৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলায় নেতৃত্ব দেয়া সাজাপ্রাপ্ত এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে আরিফুর রহমান রঞ্জু (৪২) নামের ওই ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই আসামি।
গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হাফিজ আক্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুই দশক আগে সাতক্ষীরায় সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার নেতৃত্ব দেন কলারোয়া থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান রঞ্জু। সাজাপ্রাপ্ত আসামির বাবা মৃত লুৎফর রহমান ও দাদা মৃত মাহবুবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন। রঞ্জু ১৯৯৩ সালে কলারোয়া সরকারি কলেজে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি থানা ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসেন। ঘটনার ১৯ বছর পর গত শুক্রবার পুরান ঢাকার হাজারীবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গাড়িবহরে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০-৭৫ জনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় মামলা করতে গেলে তা রেকর্ড করেনি পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী রেখে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বিএনপিকর্মী রিপন ও ছাত্রদল নেতা রঞ্জুকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়। বাকি ৪৭ আসামির সবাইকে সর্বনিম্ন চার বছর থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়