মির্জা ফখরুল : জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার মানুষ বিশ্বাস করে না

আগের সংবাদ

বিলুপ্তির পথে সোনাগাজীর ঐতিহ্য ‘পানের বরজ’

পরের সংবাদ

দুই নৌ কর্তৃপক্ষের যৌথ সার্ভে : স্রোত কমলে চলবে ফেরি, পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে লঞ্চ

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২০, ২০২১ , ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি : পদ্মা নদীর বর্তমান গতি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যৌথ সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের পদ্মা সেতু এলাকাসহ শিমুলিয়া, বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি পয়েন্টগুলো পরিদর্শন করেন তারা।
সার্ভে শেষে প্রতিনিধি দলটি জানায়, সবার সঙ্গে আলাপ ও নদী পর্যবেক্ষণ করে লঞ্চ চলাচল পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ¯্রােতের আরো অবনতি হলে লঞ্চও বন্ধ করা হবে। আর ¯্রােত কমলে ফেরি চালানো হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক আ. মতিন সরকার, বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম আব্দুস সোবাহান প্রমুখ।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ¯্রােতের গতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মূল পদ্মা নদীর পিলার পয়েন্টগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণি¯্রােত। পদ্মায় বর্তমানে ৪.৯৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে ¯্রােত বহমান রয়েছে। যা পদ্মা সেতুর পিলার পয়েন্টে এসে বাধা পেয়ে ঘূর্ণি¯্রােতের সৃষ্টি হয়ে ¯্রােতের গতিবেগ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। গত ৬ দিন ধরে পদ্মায় অস্বাভাবিকহারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়েছে ৫ সেমি। গত সোমবার পদ্মায় ১০ সেমি, মঙ্গলবার ১৩ সেমি ও বুধবার ১০ সেমি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ¯্রােতের তীব্রতাও বেড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর ফেরি চলাচল বন্ধের পর বুধবার দুপুর আড়াইটা থেকে ফেরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ফরিদপুরের ভাঙা থেকে যানবাহন বিকল্প রুটে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরপরও অ্যাম্বুলেন্সসহ যেসব যানবাহন আসছে সেগুলোও দীর্ঘসময় থেকে বিকল্প রুটে চলে যাচ্ছে। প্রথমে ফেরি ও বিকালের পর লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় অসংখ্য যাত্রী সন্ধ্যার পর ঘাট এলাকায় এসে আটকা পড়েন। অনেক যাত্রীই ঘাটের অলিগলিতে আশ্রয় নিয়ে রাত কাটান।
বুধবার রাতে ঘাটে আটকাপড়া ইয়াকুব মিয়া বলেন, ঘাটে এসে দেখি ফেরি-লঞ্চ সব বন্ধ । বাধ্য হয়েই ঘাটে থাকছি। অনেক মহিলাও ঘাটে আটকা পড়ে অলিতেগলিতে আশ্রয় নিয়েছে।
আরেক যাত্রী আরিফ হোসেন বলেন, এ রুটটির স্বল্প দূরত্ব ঢাকার সঙ্গে। ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়া দিয়ে যেতে খরচ বেশি, সময়ও বেশি লাগে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করলাম। সবার সঙ্গে আলাপ করে ও নদী পর্যবেক্ষণ করে লঞ্চ চলাচল এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ¯্রােতের আরো অবনতি হলে লঞ্চও বন্ধ করা হবে। আর ¯্রােত কমলে ফেরি চালানো হবে। তবে সাময়িকভাবে শুধু হালকা যানবাহন নিয়ে ফেরি মাঝিকান্দি দিয়ে চালানোর বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। এতে পদ্মা সেতু বাইরে থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে আরো গভীরভাবে পর্যালোচনার বিষয় রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়