কাগজ প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকায় ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে সালিশের বিচারক ও প্রতিপক্ষের হামলায় আসাদুল ইসলাম নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। পরে এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার রাতে নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম বাদী হয়ে জিএমপির সদর থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ৩ আগস্ট পোশাক শ্রমিক আসাদুলের ছেলে নয়ন সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকায় তুরাগ নদীতে নৌকা ডুবলে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুই দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
এ ঘটনার জন্য নয়নের পরিবার স্থানীয় বাবলু, আলন্দ ও সাইমুমকে দায়ী করেন। ছেলেকে নৌকা থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করে নয়নের পরিবার। এরপর স্থানীয় মাতবরদের কাছে ঘটনার বিচার দাবি করেন নিহতের বাবা আসাদুল। কিন্তু সালিশ বৈঠকের কয়েকটি তারিখ দেয়ার পরও অভিযুক্তরা আসেনি। গত বুধবার সালিশ বৈঠকে ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে গ্রাম্য বিচারক ও প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তাদের কিল-ঘুষিতে পোশাক শ্রমিক আসাদুল ঘটনাস্থলে মারা যান।
ওসি আরো জানান, আসাদুলের মৃত্যুর ঘটনায় রাতেই তার স্ত্রী শেফালী বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সালিশ বৈঠকের মাতবর মোজাম্মেল, রুবেল, হান্নান, বাবু, আলমগীর হোসেনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত আসাদুল ইসলাম গোবিন্দগঞ্জ থানার গাইবান্ধা জেলার গোলাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি গত কয়েক বছর ধরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকায় ফিরোজ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।