মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মহম্মদপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার বিকালে উপজেলার দীঘা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত ১২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন মো. ছামাদ (২৬), শরিফুল (২৭), আলিম (১৮), রিয়াজ (২২) ও নাসির (২০)।
গুরুতর আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তুহিন মোল্যা (৩০), মোস্তাক হোসেন (৫০), সোহেল রানা (২৬), সাজ্জাদ মোল্যা (৪৫), সাদেক মোল্যা (৪০), ছবির হোসেন (৫৫), আশরাফুল (৩১), গোলাম হায়দার (৪৫), গোলাম রসুল (৬০) এবং ফজিলা বেগম (৩৮)।
সূত্র জানায়, এদিন বিকালে পাল্লা শীরগ্রাম মাঠে বাবুখালী ইউনিয়ন ও দীঘা ইউনিয়নের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলছিল। গোলের সামনে বল পেয়েও গোল দিতে মিস করে খেলোয়াড় আইয়ুব মোল্যা। এতে নিজ দলের খেলোয়াড় ছামাদ মোল্যা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজনের হাতাহাতি শুরু হয়। খেলা দেখতে আশা সমর্থকদের মাঝেও উত্তেজনা বিরাজ করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই সাবেক মেম্বার আলম নবী ও আদুজ্জামান এর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে এবং ৫ জনকে আটক করেছে মহম্মদপুর থানা পুলিশ।
মহম্মদপুর থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।