সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ঝুঁকিতে উদারপন্থি ও নারীরা : শরিয়া আইনে দেশ চালানোর ঘোষণা তালেবান প্রশাসনের, তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে

পরের সংবাদ

শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক মহাসড়ক : বৃষ্টিতে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে ভোগান্তি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাহিদ আল মালেক, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হওয়া বগুড়ার শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা। এতে ৩ উপজেলার শত শত মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বগুড়া জেলার শেরপুর শহরের ধুনট মোড় থেকে ধুনট উপজেলা হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের প্রশস্তকরণ কাজ গত মার্চ মাসে শুরু হয়। কিন্তু বৃষ্টি কারণে রাস্তার বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বোয়ালকান্দি থেকে বথুয়াবাড়ী পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা চরম ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এসব সংস্কার না করায় এই রাস্তায় প্রতিদিন চলাচলকারী বাস-ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট-বড় যানবাহনের শত শত যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। এমনকি রাস্তার দুরবস্থার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণকে।
শেরপুর উপজেলার রণবীরবালা গ্রামের সোহেল রানা, মোজাম্মেল হক জানান, তিন উপজেলার শত শত মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু সংস্কার না করায় এবং রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখায় আমাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
হুসনাবাদ গ্রামের রুবেল মিয়া জানান, রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় শেরপুর থেকে ধুনটের সিএনজি ভাড়া ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দিতে হচ্ছে। তাছাড়া অসুস্থ ও বৃদ্ধরা এই রাস্তায় যাতায়াত করে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক শহিদুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম জানান, রাস্তার যে অবস্থা, তাতে আমাদের গাড়ি চালাতে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। প্রায়ই গাড়ির যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে। তাছাড়া যাত্রী পরিবহনে সময়ও বেশি লাগছে।
বগুড়া জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মো. রমজান আলী জানান, শেরপুর হতে ধুনট, গোসাইবাড়ী ও কাজিপুরের মেঘাই পর্যন্ত তিনটি রুটে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা রাস্তার কারণে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তাই প্রতিটি রুটেরই ভাড়া ১০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাস্তা মেরামত হলে আবারো পুরাতন ভাড়া নেয়া হবে।
শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউপির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু জানান, শেরপুর-ধুনট সড়কের অধিকাংশ জায়গায়ই কার্পেটিং উঠে গেছে। এটি দ্রুত মেরামত করে চলাচল উপযোগী করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বগুড়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আমান উল্লাহ জানান, আঞ্চলিক মহাসড়কের বগুড়া অংশের ১৬ কিলোমিটার রাস্তায় দুটি প্যাকেজে ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্তকরণ কাজ চলমান রয়েছে।
ফলে আমরা নিয়মিত রুটিন মেরামত কাজ করতে পারছি না। তবে ঠিকাদারকে বারবার রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সংস্কার কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। অচিরেই মেরামত কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়