সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ঝুঁকিতে উদারপন্থি ও নারীরা : শরিয়া আইনে দেশ চালানোর ঘোষণা তালেবান প্রশাসনের, তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে

পরের সংবাদ

জাহাঙ্গীর কবির নানক : বিএনপির হঠাৎ কর্মসূচি ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হঠাৎ করে বিএনপির কর্মসূচি পালন ও পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলাকে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল হঠাৎ করে আকস্মিক কর্মসূচি দিলেন। আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের কথা শুনেই পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বিএনপি জানান দিয়েছে তারা মাঠে আছে। আসলে শোকের মাস আগস্ট বড় ধরনের নতুন চক্রান্ত করতেই তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারই অংশ হিসেবে প্রশাসনের ২৭ কর্মকর্তার ওপর হামলা এবং বহু গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা।
গতকাল বুধবার দুপুরে মিরপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির মহাসচিবের এক বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে নানক বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যদি মোতায়েন করা হতো, তাহলে চন্দ্রিমা উদ্যানে তারা কর্মসূচি পালন করা তো দূরের কথা রাজধানীতে দাঁড়াতেই পারত না। তেজগাঁওয়ে ডিসি-এডিসির ওপর হামলা চালাতে পারতো না। এতগুলো গাড়ি ভাঙচুর করতে পারত না। আপনারা এই হামলার মাধ্যমে কি বোঝাতে চেয়েছেন? নিজেদের অবস্থা জানান দিতে চান? মনে রাখতে হবে এটা বঙ্গবন্ধুর দেশ। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশে তাদের এ ধরনের চক্রান্ত কখনোই সফল হবে না।
নানক বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ হলেও মুক্তির সংগ্রাম কিন্তু এখনো চলছে। জাতির পিতার নেতৃত্বে যখনই এ দেশের মুক্তির সংগ্রামের দ্বারপ্রান্তে এসেছে দেশ, ঠিক তখনই ওই পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। যার মূল হোতা ছিল পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করা ওই জিয়াউর রহমান। ওই জিয়াউর রহমানের সৃষ্টি করা দল বিএনপির মধ্যে আবার ওই সা¤প্রদায়িক মৌলবাদীর হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াত সা¤প্রদায়িক অপশক্তির যদি আবার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তাহলে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এর সমুচিত জবাব দেবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আমরা হয়তো বিএনপিকে মাঠে মোকাবিলা করতে পারব। কিন্তু ওই হেফাজত ইসলামের মতো মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে মোকাবিলা করতে হলে দলের ত্যাগী এবং যোগ্য নেতাকর্মীকে দলীয় পদে স্থান করে দিতে হবে। নতুন পৃথিবীতে নতুন মৌলবাদীরা যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা ও হেফাজতের প্রধান টারগেট আওয়ামী লীগ।

তারা সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের ওপর হামলা চালাতে চেষ্টা করবে। আমাদের সবাইকে মৌলবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহার আনামের সভাপতিত্বে দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুর রহমান হ্যাপির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিমসহ মিরপুরের স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়