সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ঝুঁকিতে উদারপন্থি ও নারীরা : শরিয়া আইনে দেশ চালানোর ঘোষণা তালেবান প্রশাসনের, তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে

পরের সংবাদ

ই-অরেঞ্জের প্রতারণা : চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহও গ্রেপ্তার >> ৫ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধায় গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে যে মামলাটি হয়েছে, সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ পাঁচ আসামির দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা বাকি ৩ আসামি হলেন- আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার ও কাউসার আহমেদ।
এর আগে গতকাল সকালে আসামিদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে বিচারক এ আদেশ দেন। আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে অর্ডার করেও পণ্য না পাওয়ায় গত সোমবার রাতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী। ওই মামলার এজাহারে প্রতারণার শিকার আরো ৩৭ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। পরদিন মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) আইনজীবীর মাধ্যমে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, বাদী গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জকে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিস দিয়ে সময় চাইলেও পণ্য কিংবা টাকা দেয়নি। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়।
এজাহারে আরো বলা হয়, এই করোনাকালে আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না। বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। আজ পর্যন্ত তারা পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে ১ লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়