সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ঝুঁকিতে উদারপন্থি ও নারীরা : শরিয়া আইনে দেশ চালানোর ঘোষণা তালেবান প্রশাসনের, তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে

পরের সংবাদ

ইয়াবার রুটে আসছে আইস ব্যবহৃত হচ্ছে সিসা বারে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইয়াবার বিভিন্ন রুট দিয়েই মিয়ানমার থেকে দেশে প্রবেশ করছে ভয়ংকর মাদক আইস (ক্রিস্টাল ম্যাথ)। পরে সেগুলো হাতবদল হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে অভিজাত শ্রেণির বখাটে তরুণদের কাছে। রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানী-ধানমন্ডির বিভিন্ন সিসা বারেও ব্যবহৃত হচ্ছে এই মাদক। দাম বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মূলত ধনীর দুলালদেরই আকৃষ্ট করছেন। এছাড়াও আইস ইয়াবা তৈরির অন্যতম কাঁচামাল হওয়ায় সে উদ্দেশ্যে এগুলো আনা হচ্ছে কিনা- তা ভাবিয়ে তুলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করা প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের ৫০০ গ্রাম আইস ও ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬৩ হাজার ইয়াবাসহ একটি চক্রকে গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিবির আরেকটি অভিযানে ২৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের তথ্যও জানানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার ডিবির গুলশান বিভাগের অভিযানে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আইস ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় ৭ জনকে। তারা হলেন- নাজিম উদ্দিন, আব্বাস উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, শিউলি আক্তার, কোহিনুর বেগম, সানজিত দাস ও হোসেন আলী। একইদিন মিরপুর বিভাগের অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন- রাশিদা বেগম ও মৌসুমী আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আইস চক্রের সদস্যরা জানিয়েছে, লকডাউনের কারণে অনেক দিন ধরে তাদের মাদক ব্যবসা মন্দা ছিল। লকডাউন শেষে তারা অত্যাধুনিক মাদক আইস ও ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার থেকে কিনে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে। মোংলাবন্দর অভিমুখী এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বহন করা একটি বড় ট্রাকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকৃত মাদক কুমিল্লায় আনা হয়। এরপর প্রাইভেটকারে এগুলো ঢাকায় নিয়ে আসে তারা। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ঢাকা মহানগরের গুলশান, বনানী, ধানমন্ডিসহ অভিজাত এলাকায় উঠতি বয়সের বখাটে যুবক-যুবতীদের কাছে এই মাদক বিক্রি করা হয়। দুই অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে। এ মাদকগুলোর মূল ব্যবসায়ী কারা সেটি খুঁজে বের করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়