প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : ভেড়ামারা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ও হিসটাসিন ট্যাবলেটের সংকট দেখা দিয়েছে। ৭ দিন ধরে এ সংকট বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহিঃ বিভাগে কাউন্টারে সিøপ নিয়ে গিয়ে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট না পেয়ে রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন।
কাউন্টার থেকে তাদের বলা হচ্ছে ওষুধ এখানে সাপ্লাই নেই। বাইরে থেকে কিনে খাবেন। এলে আবার পাবেন।
গত ১৫ দিন হলো জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন ভেড়ামারার ৬টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের মানুষ। এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু-বৃদ্ধসহ নানা বয়সিরা।
হঠাৎ জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়ায় প্যারাসিটামল ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়ে গেছে এ উপজেলায়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, জীবন রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ প্যারাসিটামল বর্তমান চাহিদার তুলনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ একেবারেই অপ্রতুল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর-সর্দি-মাথাব্যথা ও কাশির জন্য এসব ওষুধ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে খেটে খাওয়া গরিব দিনমজুর। ভোক্তভুগী রোগীরা বলছেন লকডাউনের গ্যাঁড়াকলে ইনকাম নেই। বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া কঠিন।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন, বেশকিছু দিন হলো জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বগুড়ায় চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ওষুধ চলে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বলেন, প্যারাসিটাল জাতীয় ওষুধের কোনো রকম ঘাটতি হওয়ার কথা না। তবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। বিশেষ করে গরিব-দুঃখীদের যেন কষ্ট না হয়।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।