অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

বাংলা একাডেমির আলোচনা : ‘রক্তের রঙে চিত্রিত হয় বঙ্গবন্ধুর গুরুত্ব’

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পনেরো আগস্টের হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধুর দৈহিক জীবনাবসান ঘটালেও বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘস্থায়ী মূল্য এবং গুরুত্ব সেদিন রক্তের রঙে আঁকা হয়। গতকাল মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘শোক ও শক্তির মাস আগস্ট ২০২১’ শীর্ষক মাসব্যাপী অনলাইনে আলোচনা, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রাবন্ধিক অধ্যাপক কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথা বলেন। শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
‘কবিতায় বঙ্গবন্ধু-হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুচর্চায় একাত্তরে রচিত কতিপয় কমালোচিত গ্রন্থ : চকিত পাঠ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. তপন বাগচী। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বইয়ের ডিজিটাল প্রদর্শনী এবং বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বইয়ের ডিজিটাল প্রদর্শনী করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ-পর্বে স্বরচিত ‘ছবি’ শীর্ষক কবিতা পাঠ করেন কবি দিলারা হাফিজ এবং ‘বঙ্গমাতা’ শীর্ষক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি শ্যামসুন্দর সিকদার। কবি শামসুর রাহমান রচিত ‘যাঁর মাথায় ইতিহাসের জ্যোতির্বলয়’ শীর্ষক কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন বাচিকশিল্পী রফিকুল ইসলাম এবং কায়সুল হক রচিত ‘তিনি এবং আমাদের সময়’ শীর্ষক কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী রেজিনা ওয়ালী লীনা। কবি শামসুর রাহমানের ১৫তম প্রয়াণবার্ষিকী স্মরণে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা তার কবিতা ‘ধন্য সেই পুরুষ’ পাঠ করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান। কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, জীবনে যা ধরা পড়েনি, মৃত্যুতে-অনুপস্থিতিতে তার সন্ধান, বিবরণ এবং উপস্থাপন চলতে থাকে; দুঃসময়ে এবং সুসময় লেখা কবিতায়ও। তপন বাগচী বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক নানান কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক ও লেখকরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ে কবিতা, প্রবন্ধ সংবাদ প্রতিবেদন ও গ্রন্থ রচনা করেন। এই গ্রন্থগুলোতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু এসেছে একেবারেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাইরে ঐতিহাসিক নিরপেক্ষতা নিয়ে। বঙ্গবন্ধু-চর্চায় এই গ্রন্থগুলো তাই সবিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ আগস্ট ভারত থেকে একদল বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ‘অপারেশন ওমেগা’ নামে একটি অহিংস অভিযানে যুক্ত হন। এ অভিযানের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধকালে পাক হানাদারদের আক্রমণে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং বাংলাদেশের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আইন কমিশন এ দিন পাকিস্তানি কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধুর প্রহসনের বিচার করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আবেদন জানায়। নূরুল হুদা আরো বলেন, ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি ও বাংলা একাডেমির সাবেক সভাপতি শামসুর রাহমান প্রয়াত হন। আমৃত্যু তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। আজকের আয়োজন থেকে আমরা শামসুর রাহমানকে স্মরণ করি গভীর শ্রদ্ধায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়