অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

নতুন আফগানিস্তান দেখার প্রত্যাশায়

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে আসার পর সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বহু আফগান। তবে জনগণের জানমাল নিরাপদ থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তালেবান। নারী অধিকার রক্ষার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী ও কূটনীতিকদের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করার কথা বলেছে তারা। তবে তালেবানের এমন কথায় ভরসা করতে পারছে না কাবুলের জনগণ। আফগানিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির জনগণের ইচ্ছার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন থাকবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান যথার্থ বলে মনে করি আমরা। আফগানিস্তানে শান্তি ফিরে আসুক, এটাই আমরা চাই। সন্ত্রাসবাদ রপ্তানি কিংবা বিদেশি জঙ্গিদের মদদ দেয়া থেকে বিরত থাকবে। যেখানে মানবাধিকার নিশ্চিত থাকবে। আমরা একটি নতুন আফগানিস্তান দেখার প্রতীক্ষায় রইলাম। ৪০ বছর ধরে উত্তাল সময় চলছে আফগানিস্তানজুড়ে। যদিও এর আগেও আফগানিস্তানের সময় ভালো ছিল না। দেশটিতে বিদেশি রাষ্ট্রের আগ্রাসন বহুদিন ধরে চলছে। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহারের পর শুরু হয় দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ। সেই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে উত্থান ঘটে তালেবানের। ইতোপূর্বে ১৯৯৬-০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের কঠোর শাসনকালে নানা তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সে দেশের জনগণকে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও পড়েছিল তালেবানি শাসনের নানা নেতিবাচক প্রভাব। সে পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়। রাজধানী কাবুলের পতনের পর আফগানিস্তানের শাসনভার কীভাবে নেবে, তা নিয়ে শিগগিরই ভাবছে না তালেবান। বিদেশি সব সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সরকারব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে তারা। তালেবান বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে চায় না। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়। বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। আগের তালেবান সরকারের পরিবর্তন দেখছেন তারা। কোনো প্রকার রক্তপাত ছাড়া তারা ক্ষমতার মসনদে আসছে। তালেবান শক্তির উত্থান এবং ক্ষমতা দখল আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও অতীতে এর প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। আমরাও এর বাইরে নই। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে আবদ্ধ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আফগানদের সহযোগিতা অবিস্মরণীয়। পাকিস্তান থেকে বাঙালি সেনা সদস্যরা আফগানিস্তান হয়ে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। নেতিবাচক দিক হচ্ছে, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে লোকজন আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানের হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং তাদের মতাদর্শে দীক্ষিত হয়েছে, এমনকি সামরিক প্রশিক্ষণও পেয়েছে। তাই দেশটিতে কী ঘটছে না ঘটছে, সে বিষয়ে আমাদের ব্যাপক কৌতূহল রয়েছে। রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও। বিশেষ করে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তালেবান ও জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর সম্পর্কের বিষয়টি বহুল আলোচিত। আগামীতে আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়তে চাই না। তালেবানদের নিজেদের স্বার্থে একটি শান্তিপূর্ণ সরকার গঠন করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়