অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

দেবীগঞ্জে পাটের বাম্পার ফলন : মান ভালো হওয়ায় মিলছে ভালো দাম

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং আগাম বন্যা না হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। আবার পাটের মান ভালো হওয়ায় কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। চলমান বৈশ্বিক মহামারির মাঝে পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি যেন অমূল্য রতন।
তবে পানির সংকটে কোথাও কোথাও দূর-দূরান্তে নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে কৃষককে। ফলে পরিবহন খরচ ও শ্রমিক সংকট নিয়ে তারা কিছুটা চিন্তিত।
দেবীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল, কিন্তু দাম কম হওয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর আবাদ হয়। উন্নতমানের বীজ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ এবং সেচ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার কৃষক শেরন আলী বলেন, ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে। সার, বীজ, নিড়ানি ও পাট কাটা, জাগ দেয়ার জন্য কামলা, জাগ দেয়ার পরিবহন খরচ বাবদ প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত দাম এভাবে থাকলে কৃষকরা প্রচুর লাভবান হবে এবং পাট চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে। উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের বগুড়াপাড়া এলাকার কৃষক হুমায়ুন কাদের বলেন, গত বছর ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করে ভালো দাম পাইনি, তবে এবার ৭ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, এবার এ অঞ্চলে ব্যাপক পাটের আবাদ হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার পাটের মানও ভালো। পাটের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আগামীতে আরো বেশি পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়