অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

গুরুদাসপুরে নদীর পাড় দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে নন্দকুঁজা নদীর পাড় দখলে নিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল হোসেন ও ব্যবসায়ী জহির। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর কলাহাটের কাছে প্রায় ৫ শতাংশের ওই পাড় দখল করা হয়েছে। বেলাল হোসেন অগ্রণী ব্যাংকের নাজিরপুর শাখায় সিনিয়র অফিসার পদে চাকরি করছেন। তিনি নাজিরপুরের দুধগাড়ি গ্রামের সাবদুলের ছেলে এবং ব্যবসায়ী জহির রায়হান নাজিরপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে গুরুদাসপুর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নদীর জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না ওই প্রভাবশালীরা। নাজিরপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গোপাল কুমার সিংহ পাড় দখলের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নদীর পাড় দখলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই মাপজোখ মানছেন না ওই প্রভাবশালীরা। উপরন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে আরসিসি দিয়ে স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। এখন উচ্ছেদের জন্য প্রতিবেদন দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।স্থানীয়রা জানান, নন্দকুঁজা নদীর পাড় ঘেঁষে স্থানীয় মমতাজ বেগম ও তার ৫ বোনের কাছ থেকে ৮.২৫ শতাংশের একটি জমি স্ত্রী রুমা বেগমের নামে কিনে নেন জহির রায়হান। নাজিরপুর মৌজার হাল ১৭৬ নম্বর দাগের ওই জমিটি কেনা হলেও দক্ষিণ পাশে নদীর প্রায় ৫ শতাংশ পাড় দখলে নিয়ে সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল ও জহির ব্যবসায়িক অংশীদার। নিজে ব্যাংক কর্মকর্তা হওয়ায় কৌশলে জমিটি ব্যবসায়িক অংশীদার জহিরের স্ত্রী রুমা বেগমের নামে কিনেছেন বেলাল। ওই জমিটি নদীসংলগ্ন হওয়ায় উত্তরদিকে পতিত রেখে দক্ষিণ দিকে নদীর পাড় দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করছেন তারা। অভিযুক্ত জহির বলেন, নদীর তীর ঘেঁষে তার স্ত্রীর নামে ৮.২৫ শতাংশের জমিটি কেনা হয়েছে। তবে জমিটি স্ত্রীর নামে হলেও নদীর পাড়সংলগ্ন জমিতে ঘর নির্মাণের দায়িত্ব বেলালই নিয়েছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল জানান, তার নির্মাণাধীন ঘরের কিছু অংশ নদীর জমিতে রয়েছে। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই তিনি নিয়ম মেনেই ঘর নির্মাণ করছেন। নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল ও ব্যবসায়ী জহির রায়হান নদীর পাড় দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করছেন। পরিষদের পক্ষ থেকে স্থাপনা নির্মাণে বাধা-নিষেধ করলেও বেলাল ও জহির তা মানেননি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রাসেল জানান, নদীর পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের নদীর পাড়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে বাধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়