মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : মঠবাড়িয়ায় মেয়ের আত্মহত্যার খবর শুনে বাবাও বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। গত রবিবার বিকেলে উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের এক সন্তানের জননী জান্নাতি আক্তার হেপী (১৯) স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে বিষপান করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে শোক সইতে না পেরে বাবা জাকির হোসেনও (৪৮) বাড়ির লোকজনের অগোচরে বিষপান করেন। স্বজনরা তাকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হেপীর মৃত্যুর ঘটনায় তার দাদা মান্নান হাওলাদার বাদী হয়ে হেপীর স্বামী মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করলে পুলিশ রাতেই মামুনকে গ্রেপ্তার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হেপীর ৩ মাস বয়সের সময় বাবা জাকির হোসেন সুপারি গাছ থেকে পড়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন। এরপর হেপীর মা অন্যত্র চলে যায়। শিশু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হেপীর বাবা আর ২য় বিয়ে করেননি। তিনি মেয়েকে লালন পালন করে ভাগ্নে মামুনের কাছে বিয়ে দেন। রাইসা আক্তার তাবাসসুম নামে তাদের সাড়ে ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু মামুন সম্প্রতি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের জের ধরে হেপী রবিবার বিষপানে আত্মহত্যা করেন। হেপীর মৃত্যুর ২ ঘণ্টার পর বাবা জাকির হোসেনও বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা ও একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় হেপীর স্বামী মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।