কাগজ প্রতিবেদক : করোনায় লকডাউনের সুযোগে চিড়িয়াখানার টগর-বেলী বাঘ দম্পতির পরিবারে আড়াই মাস আগে জন্ম নিয়েছে দুটি শাবক। দর্শনার্থীদের জন্য শাবকদের খাঁচা গতকাল সোমবার উন্মুক্ত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বাঘ শাবক দুটির নামকরণ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রায় আড়াই মাস আগে জন্ম নেয়া পুরুষ শাবকের নাম রাখা হয়েছে দুর্জয়, আর মেয়ে শাবকের নাম অবন্তিকা। চিড়িয়াখানার নিরিবিলি পরিবেশে প্রথম সন্তান জন্মদিল রয়েল বেঙ্গল জাতের এ বাঘ দম্পতি। এখন সন্তান নিয়ে খাঁচাজুড়ে গুটি-গুটি পায়ে হেঁেট বেড়াচ্ছে এ দম্পতি।
এ সময় আগামী ১৯ আগস্ট থেকে চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, চিড়িয়াখানা খুললেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা। তিনি জানান, করোনার কারণে বন্ধ থাকায় চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির বেশকিছু প্রাণীর জন্ম হয়েছে। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় হরিণ, জলহস্তী, বক প্রজাতির পাখিসহ অনেক প্রাণীই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রয়েছে। এসব প্রাণী পর্যায়ক্রমে অন্য চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া চিড়িয়াখানাকে সাফারি পার্কের আদলে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানান শ ম রেজাউল করিম।
শাবক দুটির নামকরণ শেষে চিড়িয়াখানায় ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত হওয়ায় ২১০টি বক অবমুক্ত করেন মন্ত্রী। এ সময় জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আবদুল লতিফ জানান, আগামী ১৯ আগস্ট চিড়িয়াখানা খুলতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনার কথা চিন্তা করে দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা ছাড়াও জ্বর মেপে ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করানো হবে। সীমিত করা হবে দর্শনার্থীর সংখ্যাও।
তিনি আরো জানান, করোনায় প্রায় দেড় বছর দর্শনার্থীর চাপ না থাকায় প্রাণীগুলো নিজস্ব পরিবেশ ফিরে পেয়েছে। প্রজননও ভালো হয়েছে। এছাড়া প্রাণীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চলতি বছর করোনার প্রকোপ বাড়লে গত ২ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যায় চিড়িয়াখানা। এর আগে ২০২০ সালে আট মাস বন্ধ থাকার পর নভেম্বরের ১ তারিখ খুলে দেয়া হয় বিনোদন কেন্দ্রটি।