বিজিএমইএ : সব স্থলবন্দর দিয়ে ইয়ার্ন আমদানির সুযোগ দাবি

আগের সংবাদ

করের আওতায় আসছেন ব্যাংকের কার্ডধারীরা!

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : ষড়যন্ত্র উন্মোচনে কমিশন চায় নির্মূল কমিটি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতির পিতা ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের গভীর ও সুদূরপ্রসারী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য উচ্চমানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। গতকাল সোমবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং সচেতন নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার কারণ ও নেপথ্যের কুশীলবদের চেহারা জাতির সামনে উন্মোচনের জন্য সরকারের উদ্যোগে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাবকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে এই কমিশন কাদের নিয়ে গঠিত হবে, কার্যপরিধি কী হবে, কতদিনের ভেতর কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এ বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইনমন্ত্রী বলেছেন প্রস্তাবিত ‘কমিশন নিরপেক্ষ হবে’। আমরা মনে করি এ ক্ষেত্রে ‘নিরপেক্ষ’ শব্দটি বিভ্রান্তিমূলক। নিরপেক্ষতার কথা বলা হলে ঘাতকদের দল এবং তাদের সহযোগী ও পুনর্বাসনকারীরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। আমাদের মতে কমিশনকে হতে হবে স্বচ্ছ, মানসম্পন্ন এবং প্রতিবেদন হতে হবে সত্যনিষ্ঠ। নিরপেক্ষতার নামে অতীতে অনেক দায়সারা ও জগাখিঁচুড়ি সরকারি কমিশন আমরা দেখেছি, যার প্রতিবেদন কখনো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
বিবৃতিদাতারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ ও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য উচ্চমানসম্পন্ন একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করতে হবে। নির্মূল কমিটি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ক অনেক তদন্ত কমিশন গঠন এবং যথাসময়ে এর প্রতিবেদন জাতির সামনে প্রকাশ করেছে; এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সরকার চাইলে আমরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে পারি।
স্বাক্ষরদাতারা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, শিল্পী রফিকুননবী, শিল্পী হাশেম খান, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অব.), মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, ডা. শেখ বাহারুল আলম, ডা. ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গাফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক জাতীয় ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, সংগীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, এডভোকেট দীপক ঘোষ, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, এডভোকেট আবদুল মালেক, সাংবাদিক দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, লেখক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়