বিজিএমইএ : সব স্থলবন্দর দিয়ে ইয়ার্ন আমদানির সুযোগ দাবি

আগের সংবাদ

করের আওতায় আসছেন ব্যাংকের কার্ডধারীরা!

পরের সংবাদ

নানা সংকটে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প : সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : কালাই উপজেলার পুনট ইউপিতে ৪০০ তাঁতি পরিবারের বসবাস। একসময় এই সব গ্রামের তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছার কদর ছিল দেশজুড়ে। নানা সংকটে এখন আর নেই তাঁতপল্লীর চিরায়ত সেই কর্মচাঞ্চল্য। এখন শাড়ি, লুঙ্গি তৈরি না হলেও বংশপরম্পরায় কিছু তাঁতি গামছা তৈরি করে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। যে তাঁতশিল্প একসময় বাংলার ঐতিহ্য বহন করত সময়ের পরিক্রমায় ঐতিহ্যবাহী সেই তাঁত শিল্পই এখন বিলুপ্তির পথে। ইলেকট্রিক তাতে পোশাকে বৈচিত্র্য আসা এবং সুতাসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প বিলুপ্তির প্রধান কারণ। পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া, সুতার দাম বৃদ্ধি এবং সময়ের পরিক্রমায় ইলেকট্রিক তাঁতের দাপটে গোটাতে হচ্ছে বংশপরম্পরার পেশা। এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে তাঁতিরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানিয়েছেন। সরজমিন তাঁতিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এই এলাকার তাঁতের তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি, গামছার খুব কদর ছিল। স্থানীয় বাজার পুনট হাট ও মোলামগাড়ী হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, রংপুর, লালমুনিরহাট, বগুড়া, নওগাঁ, সান্তাহার, গোবিন্দগঞ্জসহ আরো অনেক স্থান থেকে মানুষ তাঁতের কাপড় কিনতে আসতেন। লালমনিরহাট থেকে সোমবার পুনট হাটে তাঁতের কাপড় কিনতে আসা আব্দুল মোত্তালেব, সান্তাহার থেকে আসা আবুল কালাম আজাদ, গোবিন্দগঞ্জ থেকে আসা সায়েদ আলী মণ্ডল, পাঁচবিবি থেকে আসা ওবাইদুল ইসলাম, রংপুর থেকে আসা রফিকুর ইসলামসহ আরো অনেকেই বলেন, এখানকার তাঁতের কাপড় অনেক ভালো মানের। আবার দামও তুলনামূলকভাবে কম। এজন্য এই স্থানীয় বাজারে এত দূর থেকে তাঁতের কাপড় কিনতে এসেছি। ধাপ গ্রামের তাঁতি তালেবুর রহমান, কফিল উদ্দিন, সামছুল হুদা, খরপা গ্রামের হাফিজার রহমান, বফলগাড়ী গ্রামের আজিজুল ইসলাম, হবিবর রহমান, শিকটা গ্রামের আব্দুল গণি, মুমিন উদ্দিন, নুরুল ইসলামসহ আরো অনেকেই জানান, বাজার থেকে সুতা নিয়ে এসে বাড়ির সব সদস্য মিলে কাজ করেও কোনোমতে জীবন চলে তাদের। আগের মতো দাম না থাকায় পড়তে হচ্ছে নানা সংকটে। সারা দিন পরিবারের সব সদস্য কাজ করলে হয়তো পারিশ্রমিক হিসাবে গড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। তাঁতিদের সরকারি প্রণোদনা দিতে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার জানান, এখনো আমার সঙ্গে কোনো তাঁতি যোগাযোগ করেননি। তারা যোগাযোগ করলে সরকারি প্রণোদনার ব্যাপারে ব্যবস্থা করব এবং এই তাঁতশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়