বিজিএমইএ : সব স্থলবন্দর দিয়ে ইয়ার্ন আমদানির সুযোগ দাবি

আগের সংবাদ

করের আওতায় আসছেন ব্যাংকের কার্ডধারীরা!

পরের সংবাদ

উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর আধুনিকায়ন জরুরি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গ্রামের মানুষ এখনো উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকেই চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ভাবে। শরীরের যে কোনো সমস্যায়ই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মানেই উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো। সরকারি সেবার অন্যতম এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি পেরেছে সেই জায়গাটির সঠিক অর্থ বহন করতে? পাশাপাশি এটাও ভাবার বিষয় এত জনবহুল একটি দেশে মাত্র সামান্য কিছু ডাক্তার আর সীমাবদ্ধ সেবার উপকরণ নিয়েও কীভাবে ক্লান্তিহীন সেবা এই ডাক্তাররা দিয়ে যাচ্ছেন! তবে এখন সময় হয়েছে উপজেলাভিত্তিক এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিকায়নের। কারণ সরকারি এই স্বাস্থ্যসেবাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও আস্থার নাম।
এ কারণেই সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে না পারলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা প্রাপ্তি খুব কঠিন হয়ে পড়ে। একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য যে ডাক্তার, নার্স বরাদ্দ থাকে তা কি সত্যিই প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত?
বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই প্রতিটি বিভাগে স্পেশালিস্ট ডাক্তার থাকা তো প্রয়োজনই এবং এর সঙ্গে সঙ্গে সব প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা, জরুরি সেবার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা, সেন্ট্রাল হাইফ্লো অক্সিজেন, অন্তত ৪টি আইসিইউ বেড থাকা প্রয়োজন। কথা হচ্ছিল চুয়াডাঙ্গা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার ফতেহ আকরাম দোলনের সঙ্গে। তিনি জানালেন সীমান্ত জেলা হওয়ার পরও তারা অনেক এগোতে পেরেছেন। তার দেয়া তথ্যমতে বর্তমানে এই হাসপাতালে আইসিইউ বেড আছে ২টি, এইচডিও বেড ৮টি এবং প্রতিদিন ১০ জন কনসালটেন্ট ডাক্তার বসেন। ডাক্তার আরো বাড়ানোর জন্য তারা সাজেদা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তিও করেছেন এবং সাজেদা ফাউন্ডেশন অনেক ধরনের সরঞ্জামাদি দেয়ার পর ৮ জন ডাক্তার দেয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল বলে ৬ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন সেন্ট্রাললি ব্যবহারের জন্য তৈরি করেছেন। চেষ্টা করছে তারা। তবে এখন দেশের সব উপজেলা হাসপাতালই চুয়াডাঙ্গা জেলা হাসপাতালের মতো করে রূপান্তর করতে হবে। সদর হাসপাতালে আইসিইউ বেড, ভ্যান্টিলেটর, টেস্টের পর্যাপ্ত সুবিধা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা প্লান্ট করা অবশ্য কর্তব্য। বড় হাসপাতাল হলো কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তেমন কোনো উন্নয়ন হলো না তবে কিন্তু টেকসই উন্নয়নের বিষয়টি পুরোপুরি ঢাকা পড়ে গেল। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করোনার মধ্যে তাদের সেবা অব্যাহত রেখেছে। ডাক্তাররা তাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যদি আইসিইউ শয্যা না থাকে তবে আইসিইউ প্রয়োজন রোগীগুলো কী করবে? এমন অনেক সমস্যা থাকার পরও সব ডাক্তারকে তাদের ভালো কর্মকাণ্ডের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই হয়। শ্রীপুর সরকারি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের দাবি জানাই এবং কমপক্ষে দুটি আইসিইউ বেড স্থাপন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি রাখছি। যদি উপজেলা হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা হয়, তবে জেলা হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ কমবে এবং বেশি মানুষ সঠিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসবে। আশা করি এ বিষয়গুলো সরকারের দপ্তর বিশেষ নজর দেবে ও অসহায় মানুষকে বাঁচার জন্য সঠিক পথ দেখাবে।
সাঈদ চৌধুরী : শ্রীপুর, গাজীপুর।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়