বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স

আগের সংবাদ

তালেবান আতঙ্কে বিশৃঙ্খলা > আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক : উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ল তিনজন

পরের সংবাদ

সাগরে ঝিলিক দিচ্ছে রূপালী ইলিশ : মৎস্য বন্দরে প্রাণচাঞ্চল্য

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস কে রঞ্জন ও আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে অবশেষে দেখা মিলেছে রুপালী ইলিশের। ইলিশ বোঝাই করে ট্রলার সমুদ্র থেকে মৎস্য বন্দরের ঘাটে আসায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে বন্দরে। গত দুদিন ধরে সমুদ্র থেকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফেরায় হতাশা কাটতে শুরু করেছে জেলে পল্লীর পরিবারের সদস্যদের মাঝে।
জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়,সমুদ্র থেকে ১০০ ট্রলার ঘাটে ফিরলে কাঙ্খিত ইলিশ বিক্রি করেছে ৮-১০টি ট্রলার। অপর ৯০টি ট্রলারের সমুদ্র যাত্রার বাজার খরচ ওঠেনি মাছ বিক্রী করে।
মহিপুর মৎস্য বন্দর সূত্র জানায়, বেশ কিছু ট্রলার গত দুদিনে ইলিশ বোঝাই করে ঘাটে ফিরেছে। তাদের মধ্যে চট্রগ্রামের মহেষখালীর সাদেক মিয়ার এফবি আল্লাহ্র দান বড় সাইজের ৮ হাজার পিস ইলিশ বিক্রি করেছে ১৩ লাখ টাকায়। আলীপুর মৎস্য বন্দরের সোবাহান খলিফার মালিকানাধীন ট্রলার বিক্রি করেছে ২০ লাখ টাকা। মোস্তফা খলিফার মালিকানাধীন এফবি জাবের বিক্রি করেছে ১৫ লাখ টাকা। আহসানের মালিকানাধীন এফবি ঝিলিক বিক্রি করেছে ১৮ লাখ টাকা। মনি ফিশের মালিকানাধীন এফবি মনি বিক্রি করেছে ৩০ লাখ টাকা। মহিপুর মৎস্যবন্দরের ফজলু গাজীর মালিকানাধীন এফবি ফয়সাল বিক্রি করেছে ১৫ লাখ টাকা। ডক আনোয়ারের মাছ ধরা ট্রলার বিক্রি করেছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মো. মনিরুল ইসলামের মালিকানাধীন কক্সবাজার ফিশের এফবি আল্লাহ্র দান বিক্রি করেছে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
বন্দর সূত্র থেকে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিমন বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিমন জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার টাকা।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের কক্সবাজার ফিশের মালিক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন,গভীর সমুদ্র থেকে ফেরা চট্রগ্রাম এলাকার কিছু ট্রলার কাঙ্খিত ইলিশ পেয়েছে। স্থানীয় জেলেরা এখনো ইলিশ পায়নি। তবে সমুদ্রে ইলিশের দেখা মিলেছে এটাই খুশির খবর।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম বেপারি বলেন, আমাদের এলাকার ট্রলারে তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি, তবে কক্রবাজারের কিছু ট্রলারে ইলিশ পেয়েছে।
আলিপুর মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দীন মোল্লা বলেন,সমুদ্র থেকে দু’এক দিনে বন্দরে ইলিশ আসতে শুরু করেছে। তবে তাও আশানরূপ নয়। এতে সমুদ্রে ইলিশ পড়ছে বলা যায়না।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোষ্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পৃথিবীর সব প্রাণীকূলের জৈবিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়া, প্রজনন কর্মকাণ্ডের সময়কাল প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। ইলিশও এর বাইরে নয়। বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ইলিশের প্রজনন সময়েও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তবে তিনি আরো বলেন, ইলিশ সাধারণত সমুদ্রের গভীর অংশে চলাচল করে। প্রজনন সময়ে এরা পানির গভীর স্তর থেকে উপরের অংশে চলে আসতে শুরু করে। আগামী দু-এক সপ্তাহে সমুদ্র উপকূল ও নদ নদীতে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মিলবে। বর্তমানে গভীর সুমদ্রে ১০০-১৫০ ফুট জাল ব্যবহারকারী জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে। দু-এক সপ্তাহ পর ২০-৩০ ফুট জাল ব্যবহারকারী জেলেদের জালেও ইলিশ মিলবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়