কাগজ প্রতিবেদক : সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রেখে জামায়াতে ইসলামীর মতো ধর্মভিত্তিক মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ না করে ধর্মের নামে চলমান জঙ্গী সন্ত্রাস সাময়িকভাবে দমন করা গেলেও কখনো তা নির্মূল করা যাবে না এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর প্রতি জাতির রক্তঋণ শোধ করতে হলে রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে তার দর্শন বাস্তবায়ন করতে হবে। গতকাল রবিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অনলাইন আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আরো বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদ সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য রাজনীতিবিদ শিরিন আখতার, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্মী কাজী মুকুল প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা ব্যক্তি বা পারিবারিক হত্যাকাণ্ড ছিল না। তাকে হত্যা করা ছিল তার রাজনৈতিক দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ’৭২-এর সংবিধানকে হত্যা করা। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে অতিবিপ্লবী সিরাজ শিকদার, হক, টিপুদের মতো অতিবামদের সংগঠিত করে সুপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। তবে আজ প্রমাণিত হয়েছে, খুনিরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা, শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা তার রক্তঋণ শোধ করতে পারব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।