বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স

আগের সংবাদ

তালেবান আতঙ্কে বিশৃঙ্খলা > আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক : উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ল তিনজন

পরের সংবাদ

জাতীয় শোক দিবস : খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি ঢাকা ক্লাবের

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করেছে ঢাকা ক্লাব লিমিটেড। গতকাল রবিবার কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার শহীদ পরিবারের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে দেশের অন্যতম এ ক্লাবটি।
গতকাল রবিবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর একটি সামাজিক সংস্থা ‘ভালো কাজের হোটেল’-এর সহযোগিতায় দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের জন্য খাবার বিতরণ করে ঢাকা ক্লাব। এ সময় ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), ক্লাবের সদস্য ও কমিটির উপদেষ্টা শ্যামল দত্ত, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আহমেদ আশকারি, তানভীর আহম্মদ (মিকি), মোহাম্মদ আলী দ্বীন, এইচ এম মোরশেদ, আমিনুর রেজা খান (দুলাল), এস এম সাজ্জাদ হোসেন, মৃনাল কান্তি দাস, সিএসআর কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল করিম ছাড়াও ক্লাবের সম্মানিত সদস্য এ বি এম শামসুদ্দিন ও বীরবিক্রম মাহবুব উদ্দিনসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের জন্য খাবার বিতরণ কর্মসূচির শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির জন্য একটি শোকাবহ দিন ১৫ আগস্ট। এ বিশেষ দিনটি স্মরণে প্রতিবারের মতোই ঢাকা ক্লাব নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ‘ভালো কাজের হোটেল’-এর মাধ্যমে দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। এর পরেই বক্তব্য রাখেন ঢাকা ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল)। তিনি বলেন, স্বাধীন হওয়ার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় দেশকে গড়তে যার নেতৃত্বে নানা কর্মসূচি চলছিল- ঠিক তখনই ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতাবিরোধী চক্র পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা তাদের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। এরপর থেকেই আমাদের দেশের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার ইতিহাস ও চেতনার বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়, যা আমাদের জন্য ছিল একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ পান। সেসময় থেকেই স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও বঙ্গবন্ধু খুনিসহ যারা আমাদের মা-বোনদের বেইজ্জতি করেছিল এবং স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘপথ-পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে কোনোভাবেই বাংলাদেশকে চিন্তা করার অবকাশ নেই। যার নেতৃত্বে কোটি মানুষ যুদ্ধে গেছে। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। এ মানুষটিকে আমরা কোনোভাবেই বিতর্কে নিতে পারব না। বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।
এ সময় এ কর্মসূচি পালনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় বিজিএমইর সাবেক সহসভাপতি এ বি এম শামসুদ্দিনকে বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ বি এম শামসুদ্দিন বলেন, এই দিনে আমরা সবাই ভারাক্রান্ত। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যে যেখানেই আছি মানবতার সেবায় ছোট পরিসরে হলেও কিছু করার চেষ্টা করব। ভালো কাজের খাবার হোটেলের প্রধান উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান জানান, তারা এ খাবারগুলো দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেবেন। তবে সন্ধ্যার দিকে কমলাপুরে ভালো কাজের বিনিময়ে কিছু খাবার দেয়া হবে। দরিদ্র ও দুস্থরা তাদের করা একটি ভালো কাজের কথা জানালেই মিলবে এ খাবার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়