অশ্রুডানায় সূর্য খোঁজার পালা

আগের সংবাদ

শূন্য অর্থনীতি থেকে উন্নয়নের রোল মডেল

পরের সংবাদ

স্বর্ণের বার ডাকাতি মামলা : পিবিআইতে ডিবির ৫ কর্মকর্তা ফের রিমান্ডে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শুকদেব নাথ তপন, ফেনী থেকে : চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলা তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এ মামলাটি আরো ভালোভাবে তদন্ত করার জন্য আটক ৬ জনের মধ্যে ৫ জনের আবারো ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আটক ওসি সাইফুল ইসলামের রিমান্ড শেষ হবে আজ রবিবার। তারও নতুন করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
গতকাল শনিবার বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মনির হোসেন ডাকাতি মামলার আসামি ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, এএসআই অভিজিত বড়–য়া ও এএসআই মাসুদ রানাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। জেলার সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আলোচিত এ মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করতে আদেশ করেছেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি জানান, তদন্তে স্বর্ণের বার আরো বেশি থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বিষয়গুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে। শনিবার ফেনী মডেল থানায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসাইন, ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী পিপিএম বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) খালেদ হোসেন।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বর্ণের বার ডাকাতির সঙ্গে আরো বেশ কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আরো কিছু ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গ্রেপ্তার করতে পুলিশের বিভিন্ন দল কাজ করছে। যে কোনো সময় এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
উদ্ধার করা স্বর্ণের মধ্যে ১০টি মিয়ানমারের স্বর্ণ রয়েছে, কিন্তু বাদীর আবেদনে ২০টি স্বর্ণই ৯৯৯ নম্বরের ছিল। মিয়ানমারের স্বর্ণ কোথা থেকে এলো এ রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য তদন্ত চলছে। আমরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৫টি স্বর্ণের বার ওসি ডিবি সাইফুলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের জন্য তদন্ত চলছে। তাদের রিমান্ডের প্রসঙ্গে ডিআইজি বলেন, যাদের রিমান্ড শেষ হয়েছে তাদের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তাদের আবারো রিমান্ড দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আটক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। মামলায় চূড়ান্ত শাস্তি হবে। ফেনীতে পুলিশ কমকর্তার দীর্ঘদিন থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাতায়াতের সুবিধার কারণে আশপাশের জেলাগুলোয় তাদের বদলি করা হয়। এসব বিষয়ও বিবেচনা করা হবে। স্বর্ণের বার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বর্ণের উৎস কোথায় এবং ব্যবসায়ী কোথা থেকে স্বর্ণগুলো পেয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
গত ৮ আগস্ট বিকালে ঢাকা যাওয়ার সময় ফতেহপুর ফ্লাইওভারের সামনে ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণের বার লুট করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। ১০ আগস্ট রাতে ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস বাদী হয়ে ছয় পুলিশকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় ডাকাতি মামলা করেন। বুধবার দুপুরে ফেনীতে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় ডিবির ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ৬ পুলিশের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার চার দিন ও পাঁচ পুলিশের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়