সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে সুনামগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া ছাতক শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যাচ্ছিল। তবে সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানি ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে পর্যটন উপজেলা তাহিরপুরে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের ২ জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এই দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। আনোয়ারপুর সেতুর নিচের অংশ পাহাড়ি ঢলে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া শক্তিয়ারখলার ১০০ মিটার সড়ক ডুবে গেছে। ফলে যাত্রীদের ভেঙে ভেঙে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রাকিবুল আলম বন্ধুদের সঙ্গে তাহিরপুরে ঘুরতে এসেছেন। তিনি বললেন, সুনামগঞ্জ থেকে সিএনজি করে বিশ্বম্ভরপুরের ১০০ মিটার সড়কের এখানে এসে দেখি সড়ক পানির নিচে। পরে এখান থেকে নৌকা করে পার হয়ে আবার অটোরিকশায় উঠি। অটোরিকশা আনোয়ারপুর ব্রিজের নিচে নামিয়ে দেয়। কারণ ব্রিজের নিচের অংশ পানির নিচে ডুবে গেছে। এখানেও নৌকা করে পার হয়ে মোটরসাইকেলে করে তাহিরপুর আসি।
যাত্রী কাদের মিয়া বললেন, তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জের ভাড়া ১০০ টাকা। এখন সড়কের ২ জায়গায় পানি উঠায় ১৫০ টাকা লাগছে। কিছু করার নেই। পরিস্থিতির স্বীকার আমরা। ভেঙে ভেঙে যাওয়ার জন্য এই দুর্ভোগ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুদ্দোহা জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে ভারি বৃষ্টি হলে সুনামগঞ্জের নদনদীতে আরো পানি বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।