অশ্রুডানায় সূর্য খোঁজার পালা

আগের সংবাদ

শূন্য অর্থনীতি থেকে উন্নয়নের রোল মডেল

পরের সংবাদ

পর্যটন ও হোটেল খুলে দেয়ার ঘোষণায় খুশি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে : আগামী ১৯ আগস্ট থেকে খোলা হচ্ছে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র। তবে পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও বিনোদনকেন্দ্রের আসন সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে দীর্ঘদিন পর পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার খবরে স্বস্তি বিরাজ করছে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
গত শুক্রবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি পর্যটকে সরগরম থাকা সৈকতে সুনসান নীরবতা। অনেকেই বদ্ধ ঘর থেকে বের হয়ে সৈকতে এলেও হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। সৈকতে দায়িত্বরত বিচকর্মীরা এখনো সৈকতে কাউকে নামতে দিচ্ছে না। ১৯ আগস্টের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৈকতে আসার জন্য ঘোষণা দেয়া হচ্ছে মাইকে। পর্যটন খুলে দেয়ার খবরে দীর্ঘদিন কষ্টে দিনাতিপাত করা হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উচ্ছ¡সিত। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে হোটেল-মোটেলগুলোকে সাজানো হচ্ছে নবরূপে। ধোয়া-মোছার কাজ চলছে সর্বত্র।
ইতোপূর্বে দফায় দফায় বন্ধ রাখা হয়েছে পর্যটন সেক্টর। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবার তারা ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম জানান, হোটেল ব্যবসা নির্ভর কক্সবাজারে ২৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। আংশিকভাবে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেয়ায় সবার মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। নতুনভাবে পথচলা শুরু করবে হোটেল-মোটেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবুল কাসেম সিকদার বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন পর্যটন এলাকার হোটেল ব্যবসায়ীরা। গত চার মাসে তাদের অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে পর্যটন খুলে দেয়ায় সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়