অশ্রুডানায় সূর্য খোঁজার পালা

আগের সংবাদ

শূন্য অর্থনীতি থেকে উন্নয়নের রোল মডেল

পরের সংবাদ

গাড়িতেই এক রোগীর মৃত্যু : সিলেটে হাসপাতালে খালি নেই শয্যা-আইসিইউ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাহিদুল ইসলাম, সিলেট ব্যুরো : হাসপাতালে আইসিইউ খালি নেই। অক্সিজেনের অভাবে গাড়িতেই মারা গেছেন সিলেটের ওসমানী নগরের এক করোনাক্রান্ত নারী। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মাসখানেক ধরেই সিলেটে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। দুই দফা লকডাউনেও খুব বেশি উন্নতি হয়নি পরিস্থিতির। সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলার প্রায় সবকটি হাসপাতাল। আইসিইউতে বেড খালি নেই, সাধারণ শয্যাও প্রায় সবই পরিপূর্ণ। অবস্থা এমন যে, কেউ মারা না গেলে আইসিইউতে সিট মেলা ভার। অক্সিজেন সুবিধাসম্পন্ন সাধারণ শয্যা পাওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পিয়ারা বেগমকে নিয়ে সিলেটে আসেন তার স্বজনরা। বেড খালি না থাকায় একে একে নগরীর ৩টি হাসপাতালে গিয়েও ভর্তি করতে পারেননি তাকে। পরে অক্সিজেনের অভাবে গাড়িতেই মৃত্যু হয় পিয়ারা বেগমের।
পিয়ারা বেগমের স্বজন মুজিবুর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেটের নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেড না পেয়ে পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও একই অবস্থা। পরে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় আল হারামাইন হাসপাতালে। কিন্তু সেই হাসপাতালেও বেড খালি পাওয়া যায়নি। অন্য আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাড়িতেই মারা যান তিনি।
তবে শুধু পিয়ারা বেগমের ক্ষেত্রেই নয়। গত এক মাস ধরেই সিলেটে আইসিইউ সংকট চরমে। জুলাই মাসজুড়েই সংক্রমণের হার ছিল ৪০ শতাংশের উপরে। আগস্টের শুরুতে সংক্রমণের হার কমে এলেও এখনো ৩০ শতাংশের উপরে রয়েছে। এমন অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে আইসিইউ সংকটে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, সিলেটে আইসিইউ শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চাইলেই হুট করে আইসিইউ শয্যা বাড়ানো সম্ভব নয়। আইসিইউর সঙ্গে প্রশিক্ষিত নার্স, ওয়ার্ড বয়, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রয়োজন। এছাড়া কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সাপ্লাইসহ নানা যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ওসমানীতে নতুন ২টি করোনা ওয়ার্ড চালুর প্রক্রিয়া চলছে। তবে সংক্রমণের হার না কমানো গেলে কোনো কিছুই কাজে আসবে না। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকা নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার নতুন ১১ জনসহ করোনায় সিলেট বিভাগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮৩ জনে। নতুন ১০৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৪৩ জন। শনাক্তের হার ৩২.৬৪ ভাগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়