এম ফিরোজ মিয়া, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ থেকে আলমপুর হয়ে সুয়াগাজী বাজার সড়কের সাতবাড়িয়া ব্রিজটি ভেঙে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে উপজেলার দুই ইউনিয়নের ১৮ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের আমলে দুই ইউনিয়নের অন্তত ৪০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য আলমপুর হয়ে সুয়াগাজী বাজার সড়কের সোনাইছড়ি খালের ওপর (প্রায় ১৩০ ফিট দৈর্ঘের) সাতবাড়িয়া ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এ ব্রিজটি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত। অভিযোগ রয়েছে অতিরিক্ত মালামাল বহনকারী যান চলাচলের কারণে ব্রিজটি ভেঙে যায়। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি একটি নতুন ব্রিজ করার দাবি জানিয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী মানুষ। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে গত বুধবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ ব্রিজটি পরিদর্শন করেন এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চৌয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি আবুল কালাম আজাদ সোহাগ বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় চৌয়ারা ইউনিয়নের হাজারো মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়েই মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার করে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থার পাশাপাশি পরিকল্পিত একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য সওজের কাছে দাবি জানান তিনি।
কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য ও চৌয়ারা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. তৌহিদুল ইসলাম মজুমদার জানান, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ব্রিজ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু বলেন, তৎকালীন সরকার খালের দুপাড়ে মানুষের চলাচলের জন্য স্বল্প ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু ভারী মালবাহী যান চলাচলে ব্রিজটি ভেঙে যায়। তিনিও ব্রিজটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ জানান, ব্রিজটি সংস্কারের মাধ্যমে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।