একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

বিভিন্ন অপকর্মের হোতা সাইফুল : ডিবির ওসি হওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শুকদেব নাথ তপন, ফেনী থেকে : ফেনীতে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় ডিবির ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ৬ পুলিশকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বুধবার রাত থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে বলে জানান ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল)। বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খান ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার ৪ দিন ও ৫ পুলিশ সদস্যের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় ডাকাতি মামলা দায়েরের পর পুলিশের বিশেষ দল ওসি সাইফুল ইসলামের বাসা তল্লাশি করে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
এসব বার আত্মসাতের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি সাইফুল ইসলামসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) খোন্দকার নূরুন্নবী।
ডিবির ওসি হওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাইফুল : সাইফুল ইসলাম ফেনী কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ হিসেবে এক বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের ৯ মে তৎকালীন ডিবি ওসি এ এন এম নুরুজ্জামানকে ফুলগাজী থানায় বদলি করা হয়। ডিবি ওসির দায়িত্ব দেয়া হয় মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে। সাইফুল ইসলাম ডিবির ওসি হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তার বিভিন্ন অপকর্মের সহযোগীরা হচ্ছেন- এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক ও এএসআই অভিজিত বড়–য়া। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফেনী গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত থাকার সুবাদে একের পর এক অপকর্ম করে আসছিলেন।
জুন মাসের শেষ দিকে ফেনীর সুলতানপুরের কৃষক সবুজ মিয়ার চারটি গরু চুরি হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ শেষে গরুগুলো উদ্ধারের জন্য ডিবি পুলিশের সহযোগিতা চান। ডিবি পুলিশ ওসি সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চিওড়া এলাকার দুই গরু চোরকে ডিবি পুলিশ আটক করে অফিসে এনে ৫ লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অভিযোগ করেন। ফেনী শহর তলীর সাহেববাজারের বহুল আলোচিত কিশোরগঞ্জের গরু ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক যুবদল নেতা ডজন খুনের মামলার আসামি বর্তমান ফেনী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল কালামের সঙ্গে নিয়মিত রাত জেগে চোরা করবার ও মাদক চালানের নিরাপত্তা দিতেন ওসি সাইফুল ইসলাম। স্থানীয় কাবাব হাউসের মালিক ও একাধিক কর্মচারী জানান, ওসি সাইফুল ও এসআই নুরুল হকের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ রাত জেগে আবুল কালামের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। তাদের সব ধরনের দেন-দরবার এ কাবাব হাউসে বসে করতেন।
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করতেন এসআই নুরুল হক। গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার শখ ছিল ফেনী মডেল থানার ওসি হওয়ার। এজন্য তিনি বিভিন্ন জায়গায় তদবিরও করেছিলেন। এসপি কঠোর থাকায় তিনি ফেনী মডেল থানার ওসি হতে পারেননি। ২০১২ সালে ফেনী মডেল থানায় সেকেন্ড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাইফুল ইসলাম। দায়িত্ব পালনকালীনও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

২০১২ সালের মে মাসে ফেনী মডেল থানার সামনে পুলিশের স্থাপনা ভাঙার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলা করে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়