একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

বন্যার আশঙ্কা : লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : উজানের পাহাড়ি ঢল ও হালকা বৃষ্টিতে আবারো তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০

সেন্টিমিটার), যা বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, ভারতের সিকিম উপত্যকা থেকে সৃষ্ট তিস্তা নদী ভারতে প্রবাহিত হয়ে লালমনিরহাট জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। উজানে ভারতের অংশে ভারত সরকার বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তা নদীর পানি এক তরফাভাবে ব্যবহার করছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে কোনো পানি থাকে না। মরুভূমিতে পরিণত হয় তিস্তা। আবার বর্ষাকালে অতিবর্ষণের ফলে ভারত অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়ায় বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ বন্যা আর তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলাসহ নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলা।
উজানের পাহাড়ি ঢলে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিস্তার পানিপ্রবাহ বেড়ে গিয়ে শুক্রবার বিপদসীমা অতিক্রম করে। দিনভর বৃষ্টিতে আরো বাড়তে থাকে তিস্তার পানিপ্রবাহ। একই দিন বিকাল ৩টার দিকে দেশের বৃহত্ততম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সব জলকপাট খুলে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
ফলে তিস্তা নদীর বামতীরে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। করোনার সংক্রমণরোধে বিধিনিষেধের ধকল না কাটতে বন্যার শঙ্কায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিস্তা পাড়ের মানুষজন।
তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টের বন্যা পূর্বাভাষ কেন্দ্র জানায়, ১২ আগস্ট সন্ধ্যার পর থেকে হঠাৎ পানিপ্রবাহ বেড়ে যায় তিস্তায়। শুক্রবার সকালে তিস্তার পানিপ্রবাহ এ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে। বিকাল ৪টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সব জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিধিনিষেধের ফলে দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় বন্যার জন্য গচ্ছিত খাদ্য শেষ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিস্তার চরাঞ্চলের এসব ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ আর প্রতিবন্ধীদের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। গবাদিপশু নিয়েও চরম কষ্টে পড়েছেন পানিবন্দি তিস্তা পাড়ের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্রাবিত হয়েছে। তবে তা রাতে বিপদসীমার নিচে নেমে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়