একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী : বঙ্গবন্ধুকে স্বীকৃতি না দিলে রাজনীতি বন্ধ হতে হবে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে রাজনীতি করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। যিনি বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাকে অস্বীকার করা হয়। তার অবদানকে অস্বীকার এবং বিকৃতি যারা করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ক্লাবের আয়োজনে ‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় অন্যদের মধ্যে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে এটা করা হয়েছিল। ধীরে ধীরে এসব প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারের শুনানি ও যুক্তিতর্কে সাক্ষীরা কী বলেছেন, আসামিরা কী জবানবন্দি দিয়েছেন, কার সঙ্গে কী মিটিং হয়েছে, জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কার কখন মিটিং হয়েছে। জিয়াউর রহমান কীভাবে তাতে সায় দিয়েছেন, সহযোগিতা কীভাবে আসে- সেগুলো বর্ণিত আছে। আরো অনেক বই-পুস্তক বেরিয়েছে।
তিনি বলেন, কায়সার হামিদ আমাদের ফুটবলার, তার বাবা মিস্টার হামিদ। তিনি জিয়াউর রহমানের কোর্স মেট। তার স্বচক্ষে দেখা ঘটনাপ্রবাহর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বইয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। বঙ্গভবনে তার লাশ তখনো দাফন হয়নি, ভূরিভোজ হচ্ছে, জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কীভাবে খুনিরা ফিসফাঁস করছে- এসব কিছু বইয়ে আছে।
তিনি বলেন, কয়েকজন সেনা অফিসার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তারা সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়েছিল। কেউ যদি সেনাবাহিনী থেকে আউস্টেড হয়, তারা সেনানিবাসে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু তারা সেনানিবাসে গিয়ে টেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলত। তারা কীভাবে এখানে আসল- জেনারেল শফিউল্লাহ যখন জিজ্ঞেস করল, তখন তারা বলল উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের অনুমতি নিয়ে আসছে। তারা টেনিস খেলতে গিয়ে ষড়যন্ত্রগুলো করত। আজকে এইসব প্রকাশিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, একটা কমিশন গঠন করে হত্যাকাণ্ডের সবিস্তর জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। আজকে যদি তা করা না হয়, তাহলে আজ থেকে ৫০, ১০০ বছর পর ইতিহাস রচিত হবে, কারা হত্যা করেছিল, বিচারে যাদের শাস্তি হয়েছিল তারাই কি শুধু যুক্ত ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়