একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

জিতে লাভ হয়নি সাইফের, ক্ষতি আবাহনীর

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে গতকাল নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নামে ঢাকা আবাহনী। দারুণ রোমাঞ্চকর এ ম্যাচটিতে আবাহনীকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। ম্যাচটিতে সাইফ স্পোর্টিংয়ের হয়ে জোড়া গোল করেন কেনিথ ইকেচুকু। অপর গোলটি করেন জন ওকোলি। অপরদিকে ঢাকা আবাহনীর হয়ে গোল করেন কারভেনস বেলফোর্ট ও জুয়েল রানা।
এ ম্যাচটিতে জয় পেয়ে সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোনো লাভ হয়নি। কারণ আবাহনীর বিপক্ষে লড়ার আগে তারা পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে ছিল। এ ম্যাচটি জয়ের পরও তারা পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানেই অবস্থান করছিল। কিন্তু সাইফের বিপক্ষে হেরে বেশ বড় ক্ষতি হয়েছে ঢাকা আবাহনীর। কারণ এই হারে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। গত পরশু দিন উত্তর বারিধারাকে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ঢাকা আবাহনীকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। গতকাল আবাহনীর সামনে ফের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার সুযোগ ছিল। কিন্তু এ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি শেখ জামালের চেয়ে ঢাকা আবাহনী আরো একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে।
অবশ্য ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে সহজ জয়ের পথে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ঘাম ঝরানো জয় পেতে হয়েছে সাইফ স্পোর্টিংকে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২টি গোল করে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সাইফ। এমনকি ম্যাচের ৭৬ মিনিট পর্যন্ত এ ব্যবধান ধরে রাখতে সমর্থ হয় তারা। কিন্তু এরপর দুই মিনিটের ব্যবধানে আবাহনী ২টি গোল করলে মূল উত্তেজনা শুরু হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত ৮১ মিনিটের সময় সাইফ তাদের তৃতীয় গোলটি তুলে নিতে সমর্থ হয়। পরে আবাহনী এ গোল শোধ করতে ব্যর্থ হলে সাইফ পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয়।
বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা শেখ জামাল ২০টি ম্যাচ খেলেছে। তাদের পয়েন্ট হলো ৪২। তৃতীয় স্থানে আছে ঢাকা আবাহনী। তারা ২১ ম্যাচ খেলেছে। তাদের পয়েন্ট ৪০। চতুর্থ স্থানে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনী খেলেছে ২০টি ম্যাচ। তাদের পয়েন্ট ৩৭। পঞ্চম স্থানে রয়েছে মোহামেডান। তারা ২০ ম্যাচ খেলে ৩৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে। ষষ্ঠ স্থানে থাকা সাইফ স্পোর্টিং ২০ ম্যাচ খেলে ৩৫ পয়েন্ট পেয়েছে। সপ্তম স্থানে রয়েছে শেখ রাসেল। তারাও খেলেছে ২০ ম্যাচ। তাদের নামের পাশে রয়েছে ৩০ পয়েন্ট। অষ্টম স্থানে অবস্থান বাংলাদেশ পুলিশ এফসির। তারা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২০ ম্যাচ খেলে ২০ পয়েন্ট পায়। এ রিপোর্ট লেখার সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিপক্ষে খেলছিল পুলিশ এফসি। নবম স্থানে রয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি ক্লাব। তারা ১৯ ম্যাচ খেলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে। দশম স্থানে উত্তর বারিধারা। তারা ২০ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ১৬ পয়েন্ট। উত্তর বারিধারার সমান ২০টি ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অবস্থান ছিল ১১তম স্থানে। ১২তম স্থানে অবস্থান রয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের। তারা ১৯ ম্যাচ খেলে মাত্র ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। অপরদিকে সবার শেষে রয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। তারা ২০ ম্যাচ খেলে ৫ পয়েন্ট পেয়েছে।
এদিকে সাইফ স্পোর্টিংয়ের হয়ে ম্যাচের ৪৩ মিনিটের সময় ইকেচুকু প্রথম গোলটি করেন। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে জন ওকোলি গোল করে সাইফের ব্যবধান বাড়ান। এই ২টি গোলের মধ্যে প্রথমটি অনেক চেষ্টার পর শোধ করতে সমর্থ হয় আবাহনী। তাদের হয়ে এ গোলটি করেন কার্ভেনস বেলফোর্ট ৭৬ মিনিটের সময়। এরপর ৭৮ মিনিটের সময় জুয়েল রানা গোল করলে আবাহনীরই উল্টো জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু ম্যাচের ৮১ মিনিটের সময় সেই ইকেচুকু আবার গোল করলে সাইফ এগিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ এখন আছে শেষ পর্যায়ে। প্রিমিয়ার লিগে খেলে থাকে ১৩টি দল। ফলে প্রত্যেকটি দল হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ মিলিয়ে ২৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। এই ২৪টি ম্যাচের মধ্যে বসুন্ধরা ২১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তাদের আর ৩টি ম্যাচ বাকি আছে। তবে বসুন্ধরা ইতোমধ্যে লিগ শিরোপা জয় করে ফেলেছে। ফলে এখন বাকি ম্যাচগুলো তারা পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলবে না। বসুন্ধরার মূল দল এএফসি কাপে খেলতে মালদ্বীপে চলে গেছে। সেখানে গ্রুপপর্বের ম্যাচে খেলবে তারা।
বসুন্ধরা এএফসি কাপের গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে আগামী ১৮ আগস্ট। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা মোকাবিলা করবে মার্জিয়া এফসির। তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে ২১ আগস্ট। যদিও বসুন্ধরার এ ম্যাচটির প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারিত হয়নি। ২৪ আগস্ট গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতীয় ক্লাব মোহনবাগানের বিপক্ষে খেলবে তারা।
এ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে গ্রুপপর্বের শীর্ষে থাকতে পারলে বা গ্রুপ রানার্সআপ হতে পারলে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারবে কিংস। এএফসি কাপে ভালো করার জন্য গত বছর মেসির আর্জেন্টাইন সতীর্থ বারকোসকে এনেছিল বসুন্ধরা। কিন্তু একটি ম্যাচ খেলার পর করোনা হানা দেয়। বন্ধ হয়ে যায় এএফসি কাপও। বসুন্ধরা গত মৌসুমের এএফসি কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫-০ গোলের জয় পেয়েছিল। এতে বোঝা গিয়েছিল বেশ শক্তিশালী দল নিয়ে এএফসি কাপে গিয়েছিল বসুন্ধরা। কিন্তু করোনার থাবার কারণে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি কিংস। এবার তাদের সামনে সে সুযোগ রয়েছে।
এখন দেখার বিষয় বসুন্ধরা কত দূর যেতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়