সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহ্বান আইজিপির

আগের সংবাদ

হুমকির মুখে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা : বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

চাকরি প্রার্থীদের বয়স ছাড়ে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা মহামারিতে লকডাউনের (বিধিনিষেধ) কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের বয়স ২১ মাস ছাড় দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে প্রণোদনা দিয়েছি। সেক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ মাচ পর্যন্ত যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরির নিয়োগে যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে সেখানে তাদের আবেদনের সুযোগ থাকবে। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের প্রান্তসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়ানোর দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজপথে আন্দোলন চলছে, যদিও স্থায়ীভাবে তা বাড়াতে রাজি নয় সরকার।
মহামারির মধ্যে নিয়োগ বন্ধ থাকায় যারা ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাদের জন্য গত বছরও এক দফা সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেপ্টেম্বরেও তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। মহামারির মধ্যেই এ বছর তিনটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হলেও অন্য চাকরির সার্কুলার খুব বেশি হয়নি। ফলে চাকরির বাজারের অবস্থাও খুব বেশি বদলায়নি। এসব কারণে এবার নতুন করে আরেকটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন হয়ে এলে সেই বিষয়ে আমরা বলতে পারব। তিনি অনুমোদন দিলে চাকরি প্রার্থীরা একটা ছাড় পাবে। গত বছরের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে, তার এই ছাড়ের আওতায় আসবে। তাতে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরির বয়সে ২১ মাস পর্যন্ত ছাড় পাবে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, এটা একটা বড় সহযোগিতা। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে আমরা এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করব। আমরা এটি সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়ে দেব। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা যেসব বিজ্ঞাপন দেবে, সেই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করবে, যাদের বয়স ২৫ মার্চ ৩০ বছর হয়েছে, তারাও আবেদন করতে পারবে।
গত বছর জুলাই মাসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ১৮ লাখ ২১ হাজার ২৮৪টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ জন কর্মরত ছিল, ফাঁকা ছিল তিন লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি পদ। ফাঁকা এসব পদের সংখ্যা, ওই সময়ের মোট পদের ২১ দশমিক ২৭ শতাংশ। মহামারির মধ্যে সেসব পদ পূরণের কাজটি অনেকটাই থমকে আছে। গত বছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির সময় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ ছিল। পরে কিছু প্রক্রিয়া শুরু হলেও সংখ্যায় তা সামান্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়