সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহ্বান আইজিপির

আগের সংবাদ

হুমকির মুখে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা : বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

কাপ্তাই খালে ভাঙনের মুখে বাজারসহ শত শত ঘরবাড়ি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হারাধন কর্মকার, রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) থেকে : উপজেলার কাপ্তাই খালের নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে ঐতিহ্যবাহী রাজস্থলীর সদর বাজারসহ শত শত ঘরবাড়ি।
উপজেলা সদর থেকে চারদিকে একশ গজের মধ্যে এবং ঘিলাছড়ি ও গাইন্দ্যা ইউনিয়নের সদর এলাকার দুপাশের বসবাসরত শত শত পরিবার উপরের দিক থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির ¯্রােতে নদীর দুই পাড়ে ব্যাপক ভাঙনে প্রায় ৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নদীর ¯্রােতের পানিতে বিলীন হয়ে গেছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, গাছপালা ও প্রায় অধিকাংশ বসতভিটা। এছাড়া ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে হিন্দু ও বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের শ্মশান, বাজারে যাতায়াতের স্টিলের ব্রিজ, উপজেলা খাদ্য গুদাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, তাইতং পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একমাত্র মাঠসহ শত শত বসতঘর। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, ধান-চাল নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নেয়ার পাশাপাশি গাছপালা কেটে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন রাস্তা ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি বর্ষা মৌসুমে খাদ্য সহায়তা ও কয়েকটি পরিবারকে ঢেউটিন দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।
স্থানীয়রা জানান ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে দীর্ঘ বছর আগে শুধু তাইতং পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষার্থে কিছু ভাঙন কবলিত এলাকায় ব্লগ স্থাপন করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু জনবসতি ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে এখনো ভাঙন রোধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছরই ৫-১০ ফুট করে করে জায়গা ভেঙে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। রাজস্থলী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ আহমদ বলেন বাজারের পশ্চিম সাইড দিয়ে যে হারে ভাঙন শুরু হয়েছে আগামী দশ বছরে উপজেলার সদর বাজারটি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
রাজস্থলী বাজার চৌধুরী প্রজ্ঞাজ্যোতি চাকমা বলেন, নদীর পাশের বসবাসরত পরিবারগুলো এবং বাজারে একটি সাইডে কয়েকটি দোকান প্রতি বছর বর্ষা শুরু হলেই আতঙ্কে দিনযাপন করছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ কয়েকটি জায়গায় আবেদন করেও কোনো সুফল পাননি বলে জানান। তাই ভাঙন রক্ষার্থে দ্রুত ব্লগ স্থাপন দাবি জানান।
রাজস্থলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা বলেন রাজস্থলী কাপ্তাই খালের ওপর থেকে নেমে আসা পানির ¯্রােতে প্রতি বছরেই ৪-৫ ফুট করে মাটি ভেঙে কয়েকটি বসতভিটা ও বাজারের নদীতে নামার সিঁড়ি তলিয়ে গেছে। কয়েকটি পরিবারকে উপজেলা পরিষদের থেকে সল্প পরিসরে খাদ্য সহায়তা আর কয়েক বান্ডিল ডেউ টিন বিতরণ করা হয়েছে। তবে রাজস্থলী উপজেলা গাইন্দ্যা ও ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের মাঝ খানের উপজেলা সদর বাজারটি একটি অংশে মাছ বাজার ও লোহা শিল্প কর্মকারের দোকানসহ অর্ধশতাধিক দোকানপাট রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ভাঙন কবলিত এলাকায় ব্লগ স্থাপন করা জরুরি বলে মনে করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়