প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) নিয়োজিত পুলিশ সুপার (এসপি) মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে এক নারী পুলিশ পরিদর্শককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার সেই নারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর হাকিম কামরুন্নাহারের আদালতে মামলার আবেদন করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফরোজা আহমেদ বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এসপি মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার আবেদন করেন পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা। আদালত বাদীর জবানবন্দি, অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে ওই নারীর অভিযোগে এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য উত্তরা-পূর্ব মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এসপি মোকতার হোসেন ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন। বাদী আগে থেকেই সেখানে কর্মরত ছিলেন। মিশনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় নানা অজুহাতে
সহযোগিতার নামে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এসপি। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদী ইউনিফর্মের পকেট থেকে চাবি আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে তাকে জাপ্টে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি হুমকি-ধমকি দেন। একদিন পর ২২ ডিসেম্বর ক্ষমা চেয়ে আবারো তাকে ধর্ষণ করেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মৌখিকভাবে বিয়ে করে বাদীকে আবারো ধর্ষণ করেন মোকতার হোসেন। এরপর আরো কয়েক দফা বাদীকে ধর্ষণ করেন তিনি।
নিকাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে বাদীকে গ্রহণ করার তাগিদ দিলে মোকতার হোসেন তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বাদীকে এড়িয়ে যেতে থাকেন। এ অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল বাদী মোকতার হোসেনের রাজারবাগের বাসায় গিয়ে আশ্বাস অনুযায়ী বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। এতে অস্বীকৃতি জানান মোকতার হোসেন। শুধু তাই নয়, মোকতার হোসেন, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে বাদীকে মারধর করেন এবং হুমকি-ধমকি দেন। পরে বাদী এ বিষয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ করেন। অভিযোগটি চলমান রয়েছে।
করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলেও জানান বাদী। এর আগে গত ১০ আগস্ট বাদী উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার জন্য বলেন। এজন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।