খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

রোপা-আমন বীজ সংকট : কসবায় ডিলারদের কাছে জিম্মি হাজারো কৃষক

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কসবা (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : কসবায় বীজ ডিলারদের সিন্ডিকেটে আর্থিক হয়রানির শিকার হচ্ছে হাজার হাজার কৃষক। উপজেলার ২৫ জন ডিলারের মধ্যে কেউ সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনগুণ মূল্য দিয়ে রোপা-আমন ধানের বীজ বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে ডিলারদের কাছ থেকে। কিন্তু স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো প্রকার তদারকি করছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকার বিএডিসির নির্ধারিত বীজ ডিলারদের বীজ বিক্রির জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রতি ১০ কেজি রোপা-আমন বীজ ৩৬০ টাকা। কিন্তু এসব ডিলার ওই বীজ বিক্রি করছেন ১০০০ থেকে ১২৫০ টাকা পর্যন্ত। বিএডিসি পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ করলেও ডিলাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করলেও তদারকি করার কেউ নেই। বর্তমানে করোনা মহামারিতে কসবা উপজেলার অধিবাসীদের নাকাল অবস্থা। প্রায় প্রতিটি পরিবারে করোনা ও মৃত্যু হানা দিয়েছে। তার ওপর আবার কৃষি উপকরণের অত্যাধিক মূল্য কৃষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের নির্ধারিত বীজ ডিলার সামসুল করিম দুলাল বলেন, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বীজ সরবরাহ না পাওয়ায় মুহূর্তেই বীজ শেষ হয়ে গেছে। ফলে এক শ্রেণির খুচরা বিক্রেতা চোরাই পথে বিভিন্ন জেলা থেকে এনে অধিক দামে বীজ বিক্রি করেছে। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর অদূরদর্শিতা ও দুর্নীতির কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে।
কসবা পৌরসভার মোসলেমগঞ্জ বাজারের বীজ ডিলার আল-আমিন বলেন, আমার এলাকায় চাহিদা ছিল ১০০০-১৫০০ বস্তা বীজ। আমি পেয়েছি মাত্র ১৯৬ বস্তা বীজ। ফলে স্বল্প সময়েই বীজ শেষ হয়ে গেলে কৃষকরা বিপাকে পড়ে যায়। এতে আমার কিছু করার নেই।
উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের চারগাছ গ্রামের চাষি জামাল মিয়া জানান, কোনো ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে কি হবে? আপনারা নিউজ করবেন পরে টাকা দিয়েও বীজ সার পাব না।
উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকাপুর গ্রামের কৃষক ওসমান গনী বলেন আমি কসবা পৌর শহরের এক ডিলার থেকে ১০ কেজি বিএডিসির ২২ রুপা-আমন ধানের বীজ নিয়েছি ১২৫০ দিয়ে। এই টাকা না দিলে বীজও পেতাম না। অন্যান্য ডিলার তো আমাকে পাত্তাই দেয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগমের দূষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কেউ তাকে অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে শাস্তি পেতে হবে ডিলারদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সার-বীজ বিক্রয় কমিটির সভাপতি মাসুদ-উল আলম জানান, সরকারি বীজ অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করার সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়