খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

প্রয়াণ দিবস আজ : ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার শেষ হয়নি ১৭ বছরেও

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল ১৭টি বছর। এখনো শেষ হলো না বহুমাত্রিক লেখক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও ভাষাবিজ্ঞানী ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার বিচার। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে জঙ্গি হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির মাতিন রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। অবশ্য পরবর্তী সময়ে জমিয়াতুল মুজাহেদিনের জঙ্গিরা এ হামলার কথা স্বীকার করে।
ওই হামলার পর তিনি ২২ দিন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। একই বছরের ৭ আগস্ট জার্মানের প্রতিবাদী কবি হাইনরিশ হাইনের ওপর গবেষণা বৃত্তি নিয়ে তিনি জার্মানিতে যান। এর পাঁচ দিন পর ১২ আগস্ট মিউনিখের নিজ ফ্ল্যাটে তাকে রহস্যজনকভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। যে রহস্যের আজ পর্যন্ত কোনো কূল-কিনারা হয়নি।
ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার দীর্ঘসূত্রিতা প্রসঙ্গে ঢাকার আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম হেলাল বলেন, ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর এখন পর্যন্ত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন, সাফাই সাক্ষী শেষ হয়েছে। কিন্তু এর পরবর্তী ধাপ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আটকে আছে। ২০১৯ সালের ১৭ জুন থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। এটা শেষ হলে বিচারের রায়ের দিন ধার্য করা যেত।
তিনি আরো বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি আমরা রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। তবে এই আদালতে নতুন বিচারক যোগদান করায় পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হবে। আশা করি, দ্রুত সময়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আদালত এ মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন।
প্রসঙ্গত, প্রথাবিরোধী এ লেখক ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বহুমুখী সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী স্বতন্ত্র ও প্রথাবিরোধী লেখক হিসেবে সুপরিচিত হুমায়ুন আজাদ কর্মজীবনে অধ্যাপনা পেশা বেছে নেন। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয় তার আলোচিত প্রবন্ধের বই ‘নারী’। এই গ্রন্থ প্রকাশের পর মৌলবাদীদের রোষানলে পড়েন তিনি। তবে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অলৌকিক ইস্টিমার’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। গবেষক ও প্রাবন্ধিক হুমায়ুন আজাদ ৯০-এর দশকে একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে দেশে ও দেশের বাইরে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নানা স্মরণানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই গুণী ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়