খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

তেঁতুলিয়ার তীব্র ভাঙনে বিলীন কয়েক গ্রাম : দ্রুত স্থায়ী ব্লক নির্মাণের দাবি

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি : চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হওয়ায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে বসত ঘরবাড়ি। এতে বহু ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা। ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার সীমান্তবর্তী তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে কুতুবা ও গংগাপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম নদীতে চলে গেছে এবং কিছু গ্রাম এখন হুমকির মুখে রয়েছে। ওই দুই ইউনিয়নের মানুষের দিন কাটছে আতঙ্কের মধ্যে। গংগাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আওলাদ হোসেন জানান, আমাদের আশপাশে সব ঘরবাড়ি তেঁতুলিয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমার পাশের বাড়ির মোকলেছুর রহমান নামের এক ব্যক্তির ঘর কয়েকদিন আগে নদীতে ভেঙে যায়। সে এখন অন্যত্র চলে গেছে। এ বর্ষা মৌসুমে অব্যাহত ভাঙনে আমাদের পুকুর নদীতে চলে গেছে। আর কিছু দিন এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে ঘরবাড়ি নদীতে চলে যাবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। ঘর ভেঙে যাওয়ার ভয়ে আমার ছোট বাচ্চাসহ বউকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। দ্রুত তেঁতুলিয়া নদীতে স্থায়ী ব্লক না দিলে এ এলাকাগুলো নদীতে তলিয়ে যাবে। এছাড়া ছোট মানিকা ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ওই নদীর পাড়ে ৬ একর ৪০ শতাংশ জমির পুকুর লিজ নিয়ে মাছের ঘের করে মাছ চাষ করছেন ৪ বন্ধু মিলে। তারা প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ওই ঘেরে মাছ চাষ শুরু করেছেন। তারাও খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছে। যে কোনো সময় তাদের ওই মাছের ঘের তেঁতুলিয়া নদীতে চলে যেতে পারে। গংগাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রিয়াজ জানান, তেঁতুলিয়া নদীর তীব্র ভাঙনে ধানীভাঙ্গা ও ধারিয়া গ্রামের অধিকাংশ নদীতে চলে গেছে। এখন ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের কিছু অংশ রয়েছে ওই এলাকাগুলোও খুবই হুমকি মুখে রয়েছে। দ্রুত স্থায়ী ব্লক দিয়ে এ এলাকার লোকজনের ঘরবাড়ি রক্ষার দাবি জানাচ্ছি। কুতুবা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়া জানান, তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে ২, ৩ ও ৫নং ওয়ার্ডসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হুমকি মুখে পড়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে নদী উত্তাল হওয়ায় বেড়িবাঁধের বাইরে অনেক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তিনি আরো জানান, দ্রুত স্থায়ী ব্লক না দিলে এ ওয়ার্ডগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, ভোলা চারদিকেই নদী। নদীবেষ্টিত এলাকার মধ্যে মেঘনাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে মেঘনা নদীর পাশাপাশি তেঁতুলিয়া নদীর ওই সব এলাকাও নজরে আনা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়