খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

ড. হাছান মাহমুদ : বিএনপি টিকা নিয়ে জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথম থেকেই করোনার টিকা নিয়ে অসার সমালোচনাকারী বিএনপি জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত। দেশের আইন অনুযায়ী এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবনের সামনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তথ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘আলোকচিত্র, ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী ও তথ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বঙ্গবন্ধু ই-কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও সচিব মো. মকবুল হোসেন।
টিকা নিয়ে রুহুল কবীর রিজভীর বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রিজভী সাহেব অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন। সেজন্যই কিছুদিন তার বক্তব্য আমরা পাইনি। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন, আবার বক্তব্য দিচ্ছেন, এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি। তবে তার বক্তব্যে মনে হচ্ছে, তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। তার আরো বিশ্রাম দরকার, চিকিৎসা দরকার। সে কারণেই তার বক্তব্য সুস্থতার লক্ষণ নয়।’ রিজভী অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা নিয়ে কথা বলেছেন। এই টিকা তিনি নেননি, নিয়েছেন মডার্নার টিকা। অর্থাৎ সরাসরি খাননি, হাত ঘুরিয়ে খেয়েছেন। যে টিকাই তিনি নেন না কেন, সেটাও সরকারই এনেছে। অথচ অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকাও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বহুজন নিয়েছেন। টিকা নিয়ে তাদের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা প্রথম থেকেই।
বিভিন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে ড. হাছান বলেন, অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করছে, এই টিকা অনেক টিকার চেয়ে বেশি কার্যকর, এমনকি ডেল্টা ধরনের করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও ৯২ ভাগ কার্যকর। কোনো কোনো গবেষণায় বলা হচ্ছে, এটি দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে থাকবে। ডেল্টা ধরনের উৎপত্তি ভারতে, সেই ভারতে এই টিকা প্রায় ১০ কোটির বেশি মানুষকে দেয়া হয়েছে। সেখানে এখন শনাক্তের হার ১ শতাংশে নেমে এসেছে। সুতরাং এই টিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচার।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো এদেশে রাজনীতি করে। এই সুযোগটা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জামায়াতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে তাদের রাজনীতি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ইতিহাসকে তথ্যনির্ভর করতে হলে জিয়াসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন, এটি সময়ের দাবি।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী, কুশীলব এবং এ হত্যার সুবিধাভোগী এবং পরবর্তীতে যিনি সেনাপ্রধান ও সামরিক শাসক এবং রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন সেই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা উচিত। এর জন্য একটি কমিশন গঠন প্রয়োজন।
সচিব মকবুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনাদর্শ শিক্ষার প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়