খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

ডিএসসিসি মেয়র : চিরুনি অভিযানে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেছে

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চিরুনি অভিযানের কারণে ডেঙ্গু রোগীর ঊর্ধ্বগতি এখন নি¤œমুখী হয়েছে। ইনশাল্লাহ, এডিস মশার বিস্তার থেকেও ঢাকাবাসীকে নিস্তার দিতে পারব। এমন আশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন ডিএসসিসির ১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৯ আসনের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াহিদুল আলম মিল্টন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি প্রমুখ।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা এডিস মশার উৎসস্থল ও বিস্তার দেখে অবাক হচ্ছি। সেদিন ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি হাউসের লার্ভার পরিমাণ দেখে অবাক হয়েছি। আশা করছি, ঢাকাবাসী আরো সচেতন হবেন, সহযোগিতা করবেন এবং তথ্য দেবেন। আমরা চিরুনি অভিযান চলমান রাখব। আমরা এডিস মশার বিস্তার নি¤œমুখী নিয়ে এসেছি। চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে ইনশাল্লাহ, এডিস মশার বিস্তার থেকে ঢাকাবাসীকে নিস্তার দিতে পারব।
শেখ তাপস বলেন, আমরা যেসব ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি। বেশির ভাগের সঠিক ঠিকানা পাচ্ছি না। যাদের ঠিকানা পাচ্ছি, তাদের কেউ হয়তো চট্টগ্রাম অথবা ময়মনসিংহ অথবা অন্য জায়গা হতে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছেন। নোয়াখালী, যশোর ও গাজীপুরের রোগী পাচ্ছি। এ রকম অনেক জায়গার রোগী পাচ্ছি। দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই হয়তো অনেকেই এসেছেন। সুতরাং ঢালাওভাবে বলা যাবে না, আশি ভাগ ডেঙ্গু রোগী ঢাকা দক্ষিণ এলাকায়। যাদের তথ্য পাচ্ছি, সব জায়গায় যাচ্ছি। তার মানে এই নয় যে ঢাকা দক্ষিণে এডিসের বিস্তার নেই, প্রচুর বিস্তার আছে। 
তাপস বলেন, এডিস লার্ভার উৎসস্থল সম্পর্কে ঢাকাবাসীর উদাসীনতাও আছে। যার কারণে অনেক পানির ছোট ছোট আধার সৃষ্টি হয়। শ্রাবণ মাসের প্রায় প্রত্যেক দিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। আমরা একদিকে পরিষ্কার করছি, উৎস নিধন করছি, অন্যদিকে নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। প্রায় ৮ হাজার বাসায় অভিযান চালিয়েছি, তারপরও আমরা সেরকমভাবে সচেতনতা পাচ্ছি না। বিশেষ করে ছাদ বাগানগুলোতে বিপুল পরিমাণে লার্ভার উৎস দেখা যাচ্ছে। কাজেই যে জায়গায় পানি জমতে পারে সে আধার বিনষ্ট করতে হবে। আপনার আশপাশে যদি কোনো লার্ভার উৎস থাকে, আমাদের জানান। আমরা সরাসরি সেখানে যাব। আমরা যত বেশি তথ্য পাব, তত সফল হব।
এর আগে মেয়র দক্ষিণ কুতুবখালীতে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী খালপাড় এলাকায় মশকনিধন কার্যক্রম এবং পরে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের এনায়েতগঞ্জ ম্যাটাডোর ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন বাইলেন এলাকায় সড়ক সংস্কার কার্যক্রম ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুকুরপাড় মসজিদ হতে মেহেরুন্নেসা স্কুল পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়