খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ : অধ্যক্ষের অনিয়মে বেতনবঞ্চিত ৯৮ জন শিক্ষক ও কর্মচারী

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বেলাল হুসাইন বিজয়, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) থেকে : কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কলেজের শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ নেয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ এনে কলেজ গভর্নিং কমিটির সদস্যরা তাকে বহিষ্কার করেছেন। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সদ্য বদলি হওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পান। কলেজের ৯৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে সাবেক অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রমানের খামখেয়ালির কারণে। ২০১৬ সালের ২৪ জুন কলেজের গভর্নিং বডি প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমানকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয় এবং ২০১৬ সালের ২৪ জুন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন আব্দুল মজিদ মণ্ডল। এতে মাহবুবুর রহমান হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে সাবেক অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান রিট মামলার আদেশ নিয়ে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানীর কাছে যোগদানপত্র দাখিল করেন।
দাখিলকৃত কাগজপত্র দেখে সভাপতির সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে সভাপতি তাকে যোগদান না করিয়ে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠায়। এছাড়া সাবেক অধ্যক্ষ মাহবুুর রহমান যোগদানপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত হাইকোর্টের রায়ে কলেজের নামকরণ মিল না থাকা, ভুয়া স্বাক্ষর করে কাগজপত্র দাখিল করেন। কাগজপত্র দেখে সভাপতির সন্দেহ হলে তিনি যোগদানপত্র গ্রহণ করেননি। সংশোধিত করে যোগদানের জন্য লিখিত আদেশ দেন। সাবেক অধ্যক্ষ হাইকোর্টে মামলা করার আদেশের রায় তার বিপক্ষে যায়। কিন্তু তিনি কাগজপত্র জাল জালিয়াতি করে, স্বাক্ষর জাল করে যোগদান করতে আসেন। অদ্যাবধি ২০২১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ও সংশোধিত কাগজপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি যোগদান করতে আসেননি। তারই কারণে অত্র কলেজের ৯৮ শিক্ষক কর্মচারী বেতন ভাতা পাচ্ছেন না।
অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে তিনি বিভিন্ন সময়ে কলেজে উৎকোচ গ্রহণ করে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া কলেজের আয়ের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন প্রায় ২২ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ ৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার ২০১৬ সালের ২০ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সাবেক অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমান রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন। দায়েরকৃত আফিল অদ্যাবধি পর্যন্ত শুনানি হয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। যেসব মিথ্যাচার করা হয়েছে তার কোনো সত্যতা নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়