খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

কর্মসংস্থান ও শিক্ষা খাত : ক্ষতি পোষাতে ৯ দফা সুপারিশ টিআইবির

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা মহামারিতে তরুণদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতি পোষাতে ৯ দফা সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সুপারিশের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস (আজ) উপলক্ষে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে করোনা অতিমারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ১৬ মাস পার হলেও সেগুলো খোলার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সমন্বিত ও কার্যকর কোনো কর্মপরিকল্পনা নেয়া যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাসের চেষ্টা করা হলেও কারিগরি দক্ষতা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগের অভাবে তা অনেকাংশেই সফল হয়নি। বরং এটি শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন এক বৈষম্যের মুখোমুখি করেছে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবং অতিমারির প্রভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত পরিবারগুলোর আয় কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি গবেষণার তথ্যানুযায়ী অতিমারির থাবায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে যথাক্রমে ১৯ ও ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেছে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় বাল্যবিয়ে বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকহারে (২৬ শতাংশ)।
যুব বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা সত্যি হতে চলেছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, অতিমারির প্রভাবে গত বছরই যুব-বেকারত্বের হার দ্বিগুণ হওয়ার যে আশঙ্কা আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থা করেছিল, এত দিনে তা আরো বেড়েছে, এটি অনায়াসে বলা যায়। কাজ হারানো মানুষের বড় অংশই তরুণ ও যুবক। এদের বেশির ভাগই আবার অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী- যাদের জন্য সরকারি উদ্যোগে পরিকল্পিত বড় ধরনের কোনো সহায়তা এখনো অনুপস্থিত।
এমন পরিস্থিতিতে টিআইবির সুপারিশ, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বল্প সময়ের মধ্যে টিকাদান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কার্যক্রম নিশ্চিত করে পরবর্তী স্তরে উত্তরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ করে নারী, প্রতিবন্ধী, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তরুণদের যথাযথ কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। যেসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত থেকে তরুণরা কর্মহীন হয়েছে বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে সেগুলো চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। কারিগরি ও বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প পেশার (যেমন আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) জন্য কর্মহীন তরুণ বা নতুন গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি যেসব চাকরির পরীক্ষা ও নিয়োগ বন্ধ রয়েছে অবিলম্বে সেগুলোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অতিমারির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মানদণ্ড নির্ধারণ করতে হবে। চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। তরুণ সমাজসহ সব নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আইনি ও নীতিকাঠামোর আমূল সংস্কার করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়